Best Kobita Bangla Collection | Bengali Poetry Collection

Sharing Is Caring:

Poetry of Subhas Narayan Basu

Kobita Bangla Collection | Bengali Poetry Ebook

কতকাল আর

কত কাল আর থাকবে বসে
উদাসী বাউলের মতো
চারিদিকে কত ঘটছে ঘটনা
দিন দিন অবিরত।
মানুষ হয়ে যায় না দেখা
এ অন্যায় অবিচার
প্রতিবাদ হোক বিশ্বব্যাপী
জয় হোক মানবতার।
অসি না ধরে ধরো লেখনী
মানুষের পাশে থেকে
হিংসা দ্বেষ দূর হয়ে যাক
অন্য পথে বেঁকে।

শীতের পরশে

শীতের পরশ লেগেছে গায়
হিমেল বাতাস বয়ে যায়
মিঠে রোদ সবাই চায়
আবাল বৃদ্ধ বণিতায়।
গ্রামের শেষে হাট বসেছে
শীতের পোশাক নিয়ে
কেনাকাটা করবে মানুষ
সাধ্যমত টাকা দিয়ে।
শাল সোয়েটার আর কম্বলের
দেখি কতই সমাহার
লাল নীল হলুদ সবুজের
হরেক রকম বাহার।
ছুটির দিনে শীতের রোদে
ব্যাট বল হাতে নিয়ে
ক্রিকেট খেলে ছেলেরা সব
দল বেঁধে মাঠে গিয়ে।

আলোর দিশারী

চারিদিকে বিষাক্ত বায়ু
হায়নার লোলুপ দৃষ্টি
হাসি কান্নার মায়াজাল
প্রকৃতি হারিয়েছে স্বকীয়তা
মনুষ্যত্ব হারিয়ে অনেক মানুষই
হয়েছে অন্ধকারের জীব।
তবু যারা তার নাগপাশ থেকে
আপনাকে করেছে মুক্ত
এই ধরায় দেখাক আলো
মশাল নিয়ে মিছিল করে
আলোর দিশারী হয়ে
তামসী রাত্রির হোক অবসান
নতুন প্রভাত দেখা দিক
আগামীর শুভ বার্তা নিয়ে।

থাকবে পাশে

উড়ে যেতে মন চায়
নীল আকাশের বুকে
পাখিদের মতো ডানা মেলে
ভালোবাসার খাঁচাটা রইবে পরে
মায়ার বাঁধনে বাঁধা
এই ধরণী তলে।
আবার আসবো ফিরে
দিনের শেষে সন্ধ্যা হলে
পাখির মত আপন নীড়ে
আপন জনের একটু পরশ
পাবো বলে।
রাত্রি সে তো রাত্রি নয়
আমরা একই পথের যাত্রী
সুখ দুঃখ বিরহ বেদনায়
থাকবে পাশে বিশ্ব বিধাত্রী।

এসেছে সময়

একটি গাছ একটি প্রাণ দিয়ে শ্লোগান
গাও আজ সবাই মিলে তারি জয় গান
ধরণীর বুকে দিও তাদের একটুখানি স্থান
পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে তা মহান।
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে বন
ধন্য তাই আমাদের এ মানব জীবন
গাছেরও প্রাণ আছে শোনো দিয়ে মন
তারাও আমাদের সম্পদ ও ধন।
খরা বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে তখন
নিজেদের সন্তান সম গাছকে বাঁচাবে যখন
তাইতো বলি এসেছে সময় জনসাধারণ
সবাই মিলে কর বৃক্ষরোপণ।

বসন্ত এসে গেছে

আকাশে বাতাসে রঙের খেলা
দিগন্তে ছেয়ে গেছে
ওরে তোরা চেয়ে দেখ
বসন্ত এসে গেছে।
গাছে গাছে ফুলে ফুলে
রঙের বাহার নিয়ে
কোকিলের কুহু ডাকে
বসন্ত এসে গেছে।
ফাগুন আগুন লাগে
মনে দেয় দোলা
শিমুল পলাশ লালে লাল
যায় কি তা ভোলা।
কে যেন আবির ছড়িয়ে দিল
প্রকৃতির কোলে বনে বনে
রাঙিয়ে দিল তারই ছোঁয়ায়
অন্তরে দেহ মনে।
পাগল হাওয়ায় উতলা মন
ছুটে বেড়ায় কীসের টানে
বুঝি বসন্ত এসে গেছে
উদাস বাউলের গানে।

মনে দেয় দোলা

ফাগুন আগুন লাগে
মনে দেয় দোলা
পলাশ মাসে পলাশ প্রিয়া
তোমায় যায় না ভোলা
লালে লাল হয়ে হাতছানি দিয়ে
কাছে ডাকো বারেবারে
বসন্ত এসে ধরা দেয়
তাই তোমার দ্বারে।
রঙে রঙে সেজে ওঠে প্রকৃতি কেমন
কোকিলের কুহু ডাক শুনি দিয়ে মন
ফুলেরা সুবাস বিলিয়ে
তারই সাথে হাসে
উড়ু উড়ু করে মন
এই মধুমাসে।

তারই প্রতীক্ষায়

কতো বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি
তোমার ধ্যান করে
কখনো নির্জন নদী তীরে
শান্ত নদীর জলে
অথবা দুর্গম স্থানে
লোকচক্ষুর অন্তরালে
আমার ব্যাকুল মন খুঁজে বেড়ায়
শুধু তোমাকে।
কবে তুমি রাজহংসের ডানায়
ভর করে
বীণা পুস্তক হস্তে এসে বলবে
আমি আছি লেখনীতে
আপন সাধনায় থাক রত
সৃষ্টি কর নব নব কাব্য
সাহিত্য সঙ্গীত নৃত্যকলা
যে কথা হয়নি এতকাল বলা
তারাই প্রতীক্ষায় পথচলা।

থেকো না উদাসীন

রাতের আকাশের পানে চেয়ে
কতো রাত কাটিয়েছি তারা গুনে
বিস্ময় প্রকাশ করা ছাড়া
তুমি কী করবে শুনে।
স্বপ্নের ভেলায় চেপে মহাকাশ মহাশূন্যে
পাড়ি দিয়েছি মনে মনে
তারারা মিটিমিটি হেসে
কী যেন বলেছিল কানে কানে।
হয়তো বলেছিল মহাগগনে আমরা অগুনতি
আমাদের শেষ নেই
তোমাদেরও আশা আকাঙ্ক্ষা চাওয়া পাওয়ার
সীমা পরিসীমা নেই।
মিছে একরাশ ভাবনায় কাটাও সারাদিন
দেখ, গাছে গাছে ফুল ফোটে এখনো প্রতিদিন
এখনো সুন্দর পৃথিবীতে পাখি গান গায়
আর বুকের ভিতরে পাখিটা ডানা ঝাপটায়
জীবন সংগ্রামে থেকো না উদাসীন

মুক্ত করো আপনাকে থাকো চির নবীন।

আশা

কতো আশা নিয়ে
আকাশের একখণ্ড মেঘ এনে
তোমায় দিয়ে বলেছি
রাখো একে যত্ন করে

প্রচণ্ড গ্রীষ্মে এর বারিধারা
তোমার তৃষ্ণা মেটাবে
দেবে শীতলতা
ধরণী পরে।
তুমি হাসিমুখে বললে
দাও একে ছেড়ে মুক্ত আকাশে
ভেসে বেড়াক আপন মনে
মেঘদূত হয়ে যক্ষের লাগি
যে আছে তারই প্রতীক্ষায়
আদি অনন্তকাল ধরে।
যদি দিতে চাও দিও শুধু মোরে
তোমার অকৃত্রিম ভালোবাসা
শীত গ্রীষ্মে আমার সেই ভরসা
সেই মিটাবে সব আশা।

নববর্ষ

আবার আসলো ফিরে
নববর্ষ ঘরে ঘরে
নতুন জামা কাপড় পরে
না জানি কী বারতা নিয়ে
বুক করে দুরু দুরু
তবু মনে জাগে আশা
হে নববর্ষ তোমায়
বরণ করবো কী দিয়ে।
নববর্ষের পুণ্য সায়রে
মুছে ফেলে সব গ্লানি
নব উদ্যমে পা ফেলি সবে
দেখি নতুনের হাতছানি ।
পুরাতন যা আছে পিছে
ভুলে যাও সব মিছে
তাকাও সমুখ পানে
নবজীবনের টানে।

অনাচার

অভাবের তাড়নায় অভুক্ত পেটে
কাড়াকাড়ি করে খায় রুটি
রাস্তায় ডাস্টবিন থেকে
ছোট ছোট পথশিশু দুটি
অথচ পাশেই পাঁচতারা হোটেলে
কতকিছু খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করে
শুধুই নষ্ট করে বেড়িয়ে যায়
বড়লোকের বখাটে ছেলেমেয়ে দুটি ।
হায়রে বিধাতা এই তব বিচার !
কতো দেখবো আর এই অনাচার
মানুষের চেতনায় হান আঘাত
এই বৈষম্য দূর হয়ে যাক।

জীবনের রঙ্গমঞ্চে

রেসকোর্সে ঘোড়া ছুটে চলেছে
এই বুঝি বাজিমাৎ করলো
দুরন্ত বেগে সময় গড়িয়ে যায়
মধ্য গগনের সূর্য
ঢলে পড়ে পশ্চিম আকাশে।
ক্লান্ত হরিণের ন্যায় আটকে পড়েছি ঝোপে
প্রেমের মৃত্যু ঘটাতে
পিছনে উদ্ধত শর হাতে ব্যাধ
সমাপ্তি সঙ্গীত ঐ বুঝি বেজে উঠলো
জীবনের রঙ্গমঞ্চে
এখন অধীর আগ্রহে শুধু অপেক্ষা
ড্রপসিন পরার আগে
জীবন সংগ্রামে তোমার আলিঙ্গন।

কী করি উপায়

বাঁশি বাজয়ে তুমি
জানিনা লুকালে কোথায়
আমার ব্যকুল মন
তোমাকে যে চায় ।
আমার নূপুর বাজে
তোমার মধুর সুরে
সে আওয়াজ ভেসে বেড়ায়
দূর থেকে বহুদূরে
তবুও তার নাগাল
কেহ নাহি পায়।
দিবস শেষে ধরায় যখন
সব নিঝুম হয়ে যায়
আঁধার এসে ঘনায় চোখে
কী করি উপায়।

অনুভব

পূর্ণিমার চাঁদ ঝলমল করে হাসে
দূরে ঐ আকাশে
বাতাসে বাতাসে মেঘ বেড়ায় ভেসে
তারই আসে পাশে ।
চাঁদ খেলে লুকোচুরি মেঘেদের সাথে
যেমন তুমি করো নিশীথ রাতে
তবু তুমি আছ আমার হিয়ার মাঝে
তেমনি আমার ভালোমন্দ সকল কাজে।
আকাশের চাঁদ যত দূরে থাক
জ্যোৎস্না দু’নয়নে ভাসে
তোমার উপস্থিতি অনুভব করি যখন
তোমার সুবাস ভেসে আসে।

জিজ্ঞাসা

আকাশ আছে বাতাস আছে
আছে পাহাড় পর্বত নদী
সবকিছু থেকেও বেশি ভালো লাগতো
তুমি থাকতে পাশে যদি।
আমার সকল চাওয়া পাওয়ার মাঝে
দেখি তোমার মুখ ছবি
হারিয়ে যাই তাই বারেবারে ওগো
আমি যে এক কবি।
নতুন প্রভাতের গান গেয়ে যায়
আকাশে উদীয়মান রবি
তোমার তরে আমার লেখা কবিতা
পড়বে কি ভবিষ্যতের নবী ?

হে সমুদ্র

হে সমুদ্র
তোমার বিশাল জলরাশি দিয়ে
ঘিরে রেখেছো পৃথিবীর তিনভাগ
অথচ পারো না তৃষ্ণার্ত মানুষের
একবিন্দু তৃষ্ণা মেটাতে
অদৃষ্টের হায় এ কী পরিহাস !
রুষ্ট হলে ভাসিয়ে দিতে পার
একের পর এক নগর জনপদ
ধ্বংস করতে পার
বহুকষ্টে চাষ আবাদ করা
বিস্তীর্ণ এলাকার শস্য ক্ষেত
সবাই তখন দেখে তোমার
তাণ্ডব নৃত্য তর্জন গর্জন
কিন্তু তোমার চাপা কান্না নিয়ে
যখন আছড়ে পড় বালুকাবেলায়
তার খবর কে রাখে।

ভুলের মাশুল

খোকা খুকু ভুল করলে
তোমরা বকাঝকা করো
আর অংকের সমাধান না পারলে
কানটি মলে শাসন করো।
ঢিলটি যদি কভু ছোড়ে খোকা
খেলার ছলে কারুর বাড়ির চালে
ছুটে এসে তোমরা সবাই
চড়টি কষাও তার গালে।
অথচ দেখ সমাধানের পথে না গিয়ে
গণ্ডগোল করে কতো লোকে
ভুলের মাশুলে হয় জীবনহানি
তোমরা মিছিল করো তারই শোকে।

আশা

সারারাত বসে আছি
কাগজ পেন নিয়ে নিরালায়
তবু তুমি নাই
আমি যে শুধু তোমাকেই চাই
বল কোথা খুঁজে পাই ?
স্বর্গ মর্ত পাতাল থেকে
বাছাই করা শব্দ এনে
তুমি ছাড়া কে দেবে আমায় উপহার
সাজিয়ে নিয়ে শব্দের ডালি
রচে যাব আমি খালি
কবিতার বাহার
তুমি ধরা দাও এসে
একটুখানি থাকো পাশে
পরাবো তোমায় মণিহার।

নিশুতি রাত

নিশুতি রাত
অন্ধকারে আচ্ছন্ন
ভুতুড়ে বাড়ি।

নিশুতি রাত
আসো না তুমি চড়ে
ফিটন গাড়ি।

নিশুতি রাত
জমিয়ে গল্প শোনা
বাকি যে আছে।

নিশুতি রাত
ভুতেরা নৃত্য করে
শেওড়া গাছে।

নিশুতি রাত
নিস্তব্ধ চারিধার
কে দিচ্ছে হাঁচি।

নিশুতি রাত
ভয় কোর না তুমি
আমিতো আছি।

মেঘবালিকারা

বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ গেল আষাঢ় এলো
কৃষকরা বৃষ্টি চায়
মেঘবালিকারা ভেসে বেড়ায়
নীল আকাশের গায়।
কী বারতা এনেছে তারা
তপ্ত ধরণী দিশাহারা
ঝরুক পড়ে আকাশ থেকে
একটু বারিধারা।
মেঘবালিকারা চুপিচুপি কয়
এবার বুঝি হয়েছে সময়
দেখ বৃষ্টি ঐ এলো বলে
সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বয়।
কৃষকরা সব লাঙ্গল নিয়ে
মাঠের পানে যাচ্ছে চলে
আপন শ্রমের বিনিময় দিয়ে
সোনার ফসল ফলাবে বলে।

চাহিদা

দিন যত বদলায় মানুষের চাহিদা যায় বেড়ে
তাইতো আনন্দ একটু একটু করে যায় সরে।
শৈশব কৈশোরের সামান্য চাহিদা মেটাতে
ছিল কতোই আনন্দ আর মজা
যা কিছু প্রাপ্তি ভাগ করে নিতাম বন্ধু পরিজনে
না হলে জুটতো দুঃখ ও সাজা।
বড় হয়ে সেসব হারিয়ে গেছে
অপরিসীম চাহিদার বেড়াজালে
প্রকৃত সুখ বলে আর কিছু নাই
দেখছি নিত্য নতুন কালে কালে।
আমাদের অভাব আমাদের দুঃখ
আমরাই ডেকে আনি
মিছে চাহিদার পিছে হাত বাড়িয়ে
জীবনের দাড়ি টানি।

পিছু টানে

ফেলে আসা দিনগুলো একটু একটু করে
কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে
আর কাছের লোকগুলো দিন দিন
একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে।
তুমি চাইলেই পারবে না নিজের মতো
সেইসব দিনগুলো বা মানুষগুলোকে
আঁকড়ে ধরে থাকতে যতনে
হারিয়ে যাবার জন্য যাদের আনাগোনা
নিত্য নতুন এমনি করে
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কালের বিধানে।
প্রকৃতির নিয়মে আমরা মানুষ
এগিয়ে চলি সমুখ পানে
পিছন ফিরে তাকাই যখন
অতীতটা শুধুই পিছু টানে।

খুঁজে পাবে

আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
কীসের তোমার এতো তাড়া
যাই যাই করে বঁধু তুমি
কেন হচ্ছ দিশাহারা।
বাদল দিনে এমনি করে
কাছে থাকো যেওনা দূরে
একই সুরে বাজুক গান
তোমার আমার হৃদয় জুড়ে।
সেই গানের মধুর ধ্বনি
বাতাসে বাতাসে ভেসে যাবে
ভালোবাসার মানুষেরা শুনবে যখন
তোমায় আমায় খুঁজে পাবে।

ভালোবাসার পরশে

আষাঢ় গিয়ে শ্রাবণ এলো
মেঘবালিকারা ঘুরে বেড়ালো
তোমার চিঠি আনেনি তারা
আমি প্রতীক্ষায় রই ।
জানিনা এই বসে থাকা
আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে
হাজার তারার মাঝে খুঁজে বেড়াই
তোমার দেখা পেলাম কৈ !
জানিনা কবে মুচকি হেসে
আসবে তুমি আমার পাশে
জীবন নদীতে ভাসাবো তরণী
তোমার ভালোবাসার পরশে ঐ ।

থাকবে পাশে

আকাশ জুড়ে মেঘ কালো
ঐ বুঝি বৃষ্টি এলো
পথে আর থেকো না তুমি
এবার বাড়ি ফিরে চলো ।
শুরু হলো রিম ঝিমঝিম বৃষ্টি
আমার হারিয়ে গেছে দৃষ্টি
পৌঁছাতে হবে লক্ষ্যে তবু
সেকথা শুধু বলো।
মনের রুদ্ধ দ্বার খোল
বয়স তো নাহয় অনেক হলো
তবু থাকবে পাশে আমার
বাসতে অনেক ভালো।

প্রেমের জয়গান

অশান্ত মনকে শান্ত করতে
গাও না কেন আজ গান
সবই বুঝি তব অভিমান
আমি চাইনা কোন প্রতিদান।
বধূ বেশে নাইবা এলে
ওগো বঁধু আমার
হৃদয়ের মাঝে পরশ
পাই যেন তোমার
তুমিই কর তার সমাধান।
মরমের মাঝে যে প্রেম এনেছে তুফান
কী দিয়ে ঘুচাবো বল তার অবসান
দু’জনার হৃদয়ে একই গান একই সুরে
গাক না সে প্রেমের জয়গান।

তমসা ঘনায়

কেন যে বারেবারে মনে পড়ে তোমায়
বুঝি না আমি ওগো কোন সে মায়ায়
তোমারি মুখখানি ভেসে ওঠে নয়নে
কেমনে ভুলি বল শয়নে স্বপনে
সে কি তবে তোমার ভালোবাসায় ।
আমার মন বুঝি তোমাকে চায়
বসে আছি তাই প্রিয়া
শুধু তোমারি আশায়
তুমি ছাড়া কিছু আর চাইনা এ ধরায়
তব প্রেম বিনা জীবনে তমসা ঘনায় ।

কী করি উপায়

বাঁশরী বাজায়ে তুমি
লুকালে কোথায়
আমার ব্যাকুল মন
তোমারে যে চায় ।
আমার নূপুর বাজে
তোমার মধুর সুরে
সে আওয়াজ ভেসে বেড়ায়
দূর থেকে বহু দূরে
তবু তার নাগাল কেহ নাহি পায় ।
দিবস শেষে সব
নিঝুম হয়ে যায়
আঁধার এসে ঘনায় চোখে
কী করি উপায়।

রক্তদান

তোমরা সবে কর রক্তদান
বাঁচবে কতো অমূল্য প্রাণ।
জীবন যুদ্ধে গাব
তাদের জয়গান
স্বেচ্ছায় রক্ত যারা
করছেন দান
এমনি করে বিপন্ন মানুষের পাশে
এস আজ দাঁড়াই সবাই মিলেমিশে।
অপারেশন টেবিলে কত রোগী
রক্ত না পেলে
প্রাণটাই বুঝি যাবে চলে
এমনি অকালে
চেয় না আর এর কোন প্রতিদান
এই হোক মানুষের বড় অবদান।
এখানে ছোট বড় উঁচু নীচু ভেদাভেদ নাই
রক্তদান করুক সবাই সেটাই চাই
তাই রক্ত দেবে বাঁচবে প্রাণ
কর সেই প্রতিজ্ঞা সকলে।

সুন্দর শুধু

তুমি আকাশের চাঁদকে দেখিয়ে বলেছিলে
দেখ, কী সুন্দর তাইনা ?
আমি বললাম, যতক্ষণ না মেঘ ঢেকে ফেলে।
তোমার নিস্পলক দৃষ্টি ফুলের দিকে রেখে বললে
কী সুন্দর!
আমি উদাসভাবে বললাম, যতক্ষণ না ঝরে পড়ে।
সুন্দর বলার সাহস হারিয়ে
তোমার বিষণ্ণ মন উঁকি দেয়
জীবনের দিকে।
রাস্তা দিয়ে চলেছে মিছিল
চারিদিকে ড্রাগনের থাবা ওৎ পেতে আছে
সমস্ত সুন্দর জিনিসকে দলে পিষে দিতে।
তোমার কাব্যময় জীবনে ছন্দপতন,
সুন্দর শুধু কবিতা গান শিল্পে।

একদিন যাচ্ছিলাম

একদিন যাচ্ছিলাম ট্রেনের কামরায় চড়ে
তুমি ছিলে বসে একটুখানি সরে।
জানালা দিয়ে আকাশ পানে
ভাবছিলে কী মনে মনে
আমি এসে দিলেম ধরা
হাত দুটি ধরে।
বুঝিনি পরিচয় হবে এমনি করে
জীবনে চলার পথে আপন করে।
যত দুঃখ যত ব্যথা
মনের যত না বলা কথা
উজাড় করে দিলে তুমি
শুধু আমারই তরে।

তোমায় ভালোবেসে

হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে ভেসে
মন চলে যায় দূর দেশে
তবু তুমি দাওনা দেখা
একটুখানি হেসে।

হয়তো ফুলপরীর বেশে
আছো কোন অচিন দেশে
তাই পার না দিতে ধরা
আমার কাছে এসে।

সারাদিনের কাজের শেষে
তুমি আমি মিলে মিশে
নতুন করে গড়বো জগৎ
তোমায় ভালোবেসে।

খুঁজে পেতে কূল

মানুষের ঘুচে গেছে সব সুখ
বুঝি বিধাতা হয়েছেন বিমুখ
জানিনা কার অনাচারে আজ
পৃথিবীর হয়েছে অসুখ।
তাই পৃথিবীর ভালো চেয়ে
অদৃশ্য কোন সংকেত পেয়ে
দেবতাকে স্মরণ করি
ভাসালাম আমার তরী।
বসে আছি হাতে নিয়ে
এক ডালি ফুল
নৌকা চলেছে নদীবক্ষে
খুঁজে পেতে কূল।
পৃথিবী আবার শান্ত হবে
শিশুর মুখে হাসি রবে
নতুন করে করো না ভুল
হয় না এখনই ব্যাকুল।

নৌকা চলেছে নদীবক্ষে
খুঁজে পেতে কূল।

শব্দ

শব্দদ্বীপের শব্দ এনে
ছড়িয়ে দিলাম সবার মাঝে
লিখে যাও মনের মতো
কবিতা ছড়া আজি এ সাঁঝে।
ভালোবাসা ভালোলাগার কথা
বলতে কেন এতো লাজে
ওটাই হ’ল জীয়নকাঠি মরণকাঠি
নব উদ্যম আনে কাজে।
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
তোমার চোখে হয় হারা
শব্দভেদী বাণ ছুড়ে আমি
হই যে কভু দিশেহারা।
পাহাড় পর্বত নদী ছুটে যায়
পাখি গান গায় অন্তরে হায়
শব্দ দিয়ে রচিব মালা
তোমার তরে বঁধু কী উপায়।

বর্ষায় খেলার ছলে

ছোটবেলার বর্ষায় মাঠ ঘাট থৈ থৈ
খেলার সাথী বন্ধুরা তোমরা কৈ।
আকাশটা মেঘে ঢেকে আছে গুরু গুরু শব্দ
সূর্যিমামার নেই দেখা আজ হয়ে গেছে জব্দ।
টাপুর টুপুর করে পড়ে অবিরাম বৃষ্টি
মন বসে না ঘরে যে আর একি অনাসৃষ্টি।
স্কুলের পাট নেই যে তায় সেটাই যা মজা
তা বলে ঘরে বসে অংক করা সে কি কম সাজা !
সারাদিন একটানা বর্ষায় হারিয়ে গেছে ছন্দ
গ্যাঙর গ্যাঙর ব্যাঙের ডাক লাগে না মন্দ।
ছোটবেলার বর্ষায় মায়ের আঁচল ধরে ঘুরি
কখন মা রেঁধে দেবে গরম গরম খিচুড়ি।
পড়ার ফাঁকে সুযোগ পেলেই বর্ষায় খেলার ছলে
কাগজের নৌকা তৈরি করে ভাসিয়ে দেই জলে।

প্রাণভরে নিঃশ্বাস

দেখো পাহাড় সমুদ্র আকাশ
তোমার দিকে তাকিয়ে আছে
ফেলে দীর্ঘশ্বাস।
চলো যাই বেড়িয়ে পড়ি
বলে না কেউ আর হাত ধরি
নেই কোন আশ্বাস।
ভালো থাকাই এখন দায়
মহামারী একদিন হবে বিদায়
আছে মনে বিশ্বাস।
চারিদিকে হাহাকার চলে গেছে সুখ
পৃথিবীর হয়েছে যে কঠিন অসুখ
তবু নিতে চাই প্রাণভরে নিঃশ্বাস।

সেদিন কি হবে নিশ্চিহ্ন

আমার প্রিয় শহর
আমি তোমায় ভালোবাসি
তোমার বুকেই করেছি খেলা
শৈশবে কতো কান্না হাসি।
মায়ের আঁচল ছেড়ে তোমার ক্রোড়ে
বড় হয়ে ওঠা ধীরে ধীরে
ছাত্র ও কর্মজীবনে হারিয়ে গেছি
কতো সহস্র লোকের ভীড়ে।
কতো আন্দোলন কতো নির্যাতন
দেখেছো তুমি মুখ বুজে
প্রতিবাদের ভাষা তুমিই দেখিয়েছ
সত্যিকারের মানুষ খুঁজে।
তোমার অলিতে গলিতে পড়েছে
আমার পদচিহ্ন
যেদিন আমি থাকবো না
সেদিন কি হবে নিশ্চিহ্ন?

লিখে রাখি সযতনে

তোমার কথা মনে হলেই
গান আসে শুধু মনে
কেমন করে গাইবো বলো
তাই লিখে রাখি সযতনে।

অশান্ত মনকে শান্ত করতে
গাওনা কেন আজ গান
সবই বুঝি তব অভিমান
চাই না কোন প্রতিদান।
বধূ বেশে নাইবা এলে ওগো বঁধু আমার
হৃদয়ের মাঝে পরশ পাই যেন তোমার।

মরমের মাঝে যে প্রেম এনেছে তুফান
কী দিয়ে ঘুচাবো বল তার অবসান
দুজনার হৃদয়ে একই গান একই সুরে
গাক না সে প্রেমের জয়গান।

দেখি চেয়ে

জানালা দিয়ে দেখি চেয়ে
দুটি বাড়ির মধ্য দিয়ে
উদিত হয়েছে তরুণ তপন
প্রভাতের শুভ বার্তা নিয়ে।
ধরণীর চারিদিকে ঝলমল
দেখি সোনালী আলো
দূর হয়েছে অন্ধকার
লাগছে তাই ভালো।
পাখিরা বুঝি বের হবে
আপন নীড় থেকে
নীল আকাশে মেলবে ডানা
উড়বে এঁকে বেঁকে।
একটু না হয় ধরে রাখি
প্রকৃতির অপরূপ ছবি
মুঠো ফোনে তুলে এবার
পূর্ণ করে আমার হবি।

মনের অভিব্যক্তি

আমার কথাটি —
বলে রইলে চুপ করে
মনের মধ্যে —
রাখলে গোপন করে
বুঝি বলা হল না।
না বলা না শোনা
মনের অভিব্যক্তি
দু’জনার হৃদয়ে বিশাল ব্যাপ্তি
ঘুচাবে কেমন করে
হবে সমাপ্তি!
মান অভিমানের পালা
ভালোবাসার এ কী নিদারুণ জ্বালা।

বুঝবে সেদিন

পৃথিবীতে মানুষ আসে মানুষ যায়
পরলোকে গিয়ে কি শান্তি পায়?
ইহলোকে সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা
হাসি কান্না বিরহ মায়া ছলনা
যাবার সময় সবই ভুলতে চায়।

তবু সারা জীবন আমিত্ব করে
বৃথাই মিছে দম্ভ অহংকার করে
এক অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে
হেলায় হারায় আপন সুখ শান্তি
অর্বাচীনের মতো না জানি কীসের তরে।

বুঝলো না মন শূন্য হাতে
এসেছিল ধরায় একদিন
বুঝবে সেদিন
খাঁচার থেকে পরান পাখি
উড়ে যাবে যেদিন।

তুমি এলে তাই

তুমি এলে তাই রবি ঠাকুর
স্বপ্নে দেখা দিলে জন্মদিনে
কিন্তু এ কী বিষণ্ন মন উদাস দৃষ্টি
দাড়িতে হাত বুলাচ্ছো আনমনে।
শুধাচ্ছো, আমার নোবেল পুরস্কারের মেডেলটা কৈ?
আজও হলো না উদ্ধার এ লজ্জা ঢাকার জায়গা কৈ!
আমার সাধের শান্তি নিকেতনে অশান্তির বাতাবরণ
শুনি আর ভাবি শিক্ষা সংস্কৃতির এ কী ধরণ!
‘তোতা কাহিনী’র মতো খাঁচার উন্নতি হচ্ছে দিন দিন
পিঠের বোঝা বাড়ছে শিশুর দেখেছো কোনদিন?
শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! দুর্নীতি দুর্দিন
ঘুণ ধরা সমাজে বলতে পার কবে আসবে সুদিন?
শিশুমন আজ উধাও স্মার্টফোন ইন্টারনেটের আগমনে
আমার বার্তা তাদের কাছে পৌঁছাবে বল কেমনে?
আমার ‘রাখি বন্ধন উৎসব’ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বজায় রাখার চেষ্টা করিস জাতির অগ্রগতি।

তোমার কথা

আমার ভিতরে শিশু মনটি
খেলা করে অবিরত
তবু পারি না ধরে রাখতে
বার্ধক্যের ভারে আজ যে নত।
যৌবনের সেই সোনালী দিনগুলি
হাতছানি দিয়ে ডাকে বার বার
অ্যালবামে দেখে জুড়াই মন
পারি না ছুঁতে তাকে যে আর।
প্রকৃতিতে বসন্ত আসে বসন্ত যায়
কোকিলের কুহু ডাক হৃদয় শুনতে পায়
ফাগুন আগুন লাগে পলাশ বনে
তোমার কথা আজও পড়ে মনে।

কবিতার অপমৃত্যু

কবিতা, ধুরন্ধর কিছু লোকের পাল্লায়
তুমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছো
হচ্ছে তোমার অপমৃত্যু
দেখতে কি পাচ্ছ ?
প্রযুক্তির ব্যবহারে আনছে বেগ
রমরমিয়ে চলছে তোমার সৃষ্টি
কেড়ে নিয়েছে তোমার আবেগ
তোমার দূরদৃষ্টি।
অথচ তোমার আবেগকে ফুটিয়ে তুলতে
কত বিনিদ্র রজনী করেছি পার
শব্দের ভাণ্ডার থেকে একটা একটা করে শব্দ এনে
চেয়েছি কবিতার মালা গাঁথার।
তোমার মত আমরাও একদিন
হয়ে যাব নিঃস্ব
সৃষ্টিতে যতই যাতনা ততই সুখ
বুঝবে কি সেদিন বিশ্ব?

থাকি প্রতীক্ষায়

দিন দিন তুমি হারিয়ে যাচ্ছ
চেনা যাচ্ছে না আর তোমাকে
তোমার সেই হাসি কোথায় হারিয়ে গেল
যা রাখতো বিভোর করে আমাকে।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
বুঝি বেঁচে থাকাই দায়
হাজার কাজের মাঝেও তাই
মানুষ সমুখ পানে চায়।
বেঁচে থাকার সুস্থ পরিবেশ
একটু আনন্দ হাসি গান
কঠিন বাস্তবের নির্মম কষাঘাতে
দিন দিন হয়ে যায় খান খান
রাতের আঁধার পেরিয়ে
সূর্য ওঠে প্রতিদিন
নতুন ভোরের থাকি প্রতীক্ষায়
আসবে কবে সুদিন।

কালস্রোতে

বসন্ত আসে ফুলের বাহার দেখা যায়
কোকিলের কুহু ডাক হৃদয় শুনতে পায়
ফাগুন আগুন লাগে পলাশ বনে
রঙের উৎসবের কথা পড়ে মনে।
তারপরই চৈত্রের অবসান
দেখা দেয় নববর্ষের হাতছানি
পুরাতনকে বর্জন করে
চলে নতুনের আমদানি।
দিকে দিকে মুখরিত হকারের চিৎকার
শোনা যায় সেল সেল হোলসেল
কেনাকাটার হিড়িক নিয়ে
আসে চৈত্র সেল।
কত মানুষের রুজি রোজগার
এরই সাথে জড়িয়ে আছে
সারা বছরতো অধিকাংশ মানুষ ছোটে
শপিং মলের ধারে কাছে ।
উৎসবের চেহারা নিয়ে
ভিড় জমে চারিদিকে
খুঁজে বেড়াই হারানো শৈশব
কালস্রোতে যা হয়েছে ফিকে।

বসন্ত বিদায়ে বর্ষবরণ

বসন্ত বিদায়ে পলাশের রঙ
হয়ে যাবে আজ ফিকে
অশোক শিমুল লালে লাল হয়ে
দেখা দেবে না দিকে দিকে।
কোকিলে সুমিষ্ট কুহু ডাক
বুঝি আর যাবে না শোনা
ফাগুনের রঙে আবির ছড়িয়ে
হবে না প্রেমের জাল বোনা।
বসন্ত বিদায়ে নতুন করে
করবো বর্ষবরণ
কী হবে তার রকম ফের
কী হবে তার ধরণ?
আর যেন কেউ করে না এমন
রাবণের মতো সীতা হরণ
অথবা দুঃশাসনের মতো রাজসভায়
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ।
চাই মা-বোনেদের লজ্জা নিবারণ
না যেন হয় আর নারী নির্যাতন
অভয়ার মতো আর যেন কারোর
না হয় অকালে প্রাণ বিসর্জন।

বলবো কী আর

চাকরি হারিয়ে পথে এসে আজ
বসেছে কত মানুষ অসহায়
শিক্ষকতাই ছিল যাদের জীবিকা
তারা যেন সঠিক বিচার পায়।
দুর্নীতিপরায়ণ কিছু মানুষের
ঘোর অপকর্মের ফলে
যোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছে দিশাহারা
সংসার কেমনে চলে!
শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল
চলছে অনাচার
শিক্ষা কর্মীদের দুর্দশার কথা
বলবো কী আর।

সুভাষ নারায়ণ বসু | Subhas Narayan Basu

Bengali Famous Story | গল্পগুচ্ছ | মনিকা চক্রবর্তী | Top New 2023

Paribartan Bengali Story | পরিবর্তন | অঙ্গনদীপ চ্যাটার্জী | Top New 2023

Natun Bangla Kobita Lekha | কবিতাগুচ্ছ | শ্রাবনী দত্ত | Top New 2023

Bangla Online Kobita | কবিতাগুচ্ছ | সুমিতা চৌধুরী | Top New 2023

Shabdodweep Web Magazine | Kobita Bangla Collection | Subhas Narayan Basu

Kobita Bangla Collection, also known as Bengali Poetry, has long been a symbol of literary excellence. From the verses of Rabindranath Tagore to modern poets, Bengali literature has seen a vibrant evolution, keeping alive the rich cultural heritage of Bengal. For poetry lovers, finding a comprehensive collection of such masterpieces is essential. Shabdodweep Web Magazine has emerged as a leading platform, publishing some of the finest Kobita Bangla Collection. Whether you’re interested in Bengali Poems, Rhymes, or stories related to Bengali Literature, Shabdodweep is the go-to place.

The Essence of Kobita Bangla Collection

Kobita Bangla Collection is a treasure trove for poetry enthusiasts. With its roots deeply embedded in Bengali culture, this collection is a reflection of the region’s history, emotions, and social fabric. From Bengali Rhymes for children to poignant, heart-wrenching poems, the diversity of the Kobita Bangla Collection caters to people of all ages and tastes. The beauty of these poems lies in their rhythmic patterns, deep meanings, and the ability to stir emotions.

Shabdodweep Web Magazine recognizes the significance of preserving Bengali poetry and offers a wide range of works, from classic poems to contemporary Bengali Poetry that encapsulates modern-day sentiments. Among these works is the collection of poetry written by poet Subhas Narayan Basu, whose works grace the pages of Shabdodweep Web Magazine.

The Poet Behind Shabdodweep’s Kobita Bangla Collection: Subhas Narayan Basu

Subhas Narayan Basu is a modern poet in the world of Bengali poetry. His works, filled with vivid imagery and deep emotions, have earned him a place in the hearts of readers. Basu’s poetry is a seamless blend of traditional Bengali literary forms and contemporary expressions. His ability to capture human emotions with such clarity makes his Kobita Bangla Collection truly special.

Basu has contributed significantly to Bengali Literature through his poems, offering readers a glimpse into the beauty and complexity of Bengali culture. His work on Shabdodweep Web Magazine brings alive the rich tradition of Bengali poetry, and his poems resonate deeply with readers of all generations.

The Role of Shabdodweep Web Magazine in Promoting Kobita Bangla Collection

Shabdodweep Web Magazine plays an integral role in promoting Bengali Poems and Bengali Poetry. The magazine not only curates poetry but also fosters a sense of community among poetry lovers. With a commitment to presenting the best of Bengali literature, Shabdodweep offers readers a chance to engage with the finest Kobita Bangla Collection available online.

In addition to Kobita Bangla Collection, Shabdodweep Web Magazine also publishes stories and novels that reflect the nuances of Bengali culture. Through their platform, readers can explore the profound thoughts and feelings conveyed through poetry and prose alike. By featuring a range of talented poets and writers like Subhas Narayan Basu, the magazine offers a unique space for literary lovers to discover and appreciate Bengali Rhymes, poems, and stories.

Exploring Bengali Poetry: An Overview of Themes and Styles

Bengali poetry has a long and illustrious history. It spans various genres, from Bengali Rhymes to more serious works that explore complex emotions and philosophical themes. Traditional Kobita Bangla Collection often explores themes like nature, love, devotion, and the human spirit, while modern poetry has delved into more contemporary issues such as social justice, identity, and change.

The Bengali Poems found in Shabdodweep Web Magazine reflect these diverse themes. Whether you’re reading Basu’s poignant verses or discovering new voices, the Kobita Bangla Collection on this platform offers something for everyone. The ability to access such a wide array of poetry enriches the experience of Bengali literature lovers, who can enjoy both traditional and modern perspectives on the world.

Why You Should Explore Shabdodweep’s Kobita Bangla Collection

Rich Variety: Whether you’re looking for Bengali Rhymes for children, serious Bengali Poems, or lighthearted pieces, Shabdodweep Web Magazine’s Kobita Bangla Collection has it all. Each poem is a testament to the cultural depth and literary richness of Bengal.

Expertly Curated Content: The works published on Shabdodweep Web Magazine are carefully curated to provide readers with high-quality Bengali Poetry. Through a blend of classic and contemporary works, the magazine showcases a wide spectrum of poetic styles and themes.

Discover Talented Writers: Writers like Subhas Narayan Basu contribute significantly to the magazine, bringing forth fresh perspectives and thought-provoking content. His poems are an essential part of the Kobita Bangla Collection and resonate deeply with readers.

Free and Easy Access: Shabdodweep Web Magazine makes it easy for readers to access the Kobita Bangla Collection from anywhere, at any time. The platform’s user-friendly design ensures that readers can explore a vast array of content effortlessly.

Engaging Community: As part of the literary community, Shabdodweep Web Magazine encourages readers to engage with poetry, share their thoughts, and contribute to the ongoing celebration of Bengali Literature.

FAQ: Everything You Need to Know About Kobita Bangla Collection

  1. What is a Kobita Bangla Collection?

A Kobita Bangla Collection is a curated set of Bengali poems that showcase the beauty and depth of Bengali literature. It encompasses works from classical to modern poetry, exploring various themes like love, nature, and social issues. Shabdodweep Web Magazine offers a wide collection, including works by poets like Subhas Narayan Basu.

  1. Why should I read poetry from Shabdodweep Web Magazine?

Shabdodweep Web Magazine offers an expertly curated selection of Bengali Poems and Bengali Poetry. With contributions from poets like Subhas Narayan Basu, the magazine offers fresh perspectives and timeless literary works. Whether you’re interested in classic Kobita Bangla Collection or modern themes, Shabdodweep provides high-quality content for poetry lovers.

  1. Who is Subhas Narayan Basu?

Subhas Narayan Basu is a well-known poet in Bengali literature. His works are featured in the Kobita Bangla Collection on Shabdodweep Web Magazine, where he blends traditional poetic forms with contemporary expressions. His poems often explore profound human emotions and the beauty of Bengali culture.

  1. Can I find Bengali Rhymes on Shabdodweep Web Magazine?

Yes, Shabdodweep Web Magazine features a variety of Bengali Rhymes for children. These rhymes, along with other forms of Bengali Poetry, are part of the magazine’s mission to promote and preserve Bengali literary traditions.

  1. How can I contribute to Shabdodweep Web Magazine?

If you’re passionate about Bengali Literature and Bengali Poetry, you can submit your poems to Shabdodweep Web Magazine. The magazine welcomes contributions from writers, poets, and literary enthusiasts who wish to share their work with a broader audience.

  1. Is there a way to explore Bengali literature beyond poetry?

Yes, Shabdodweep Web Magazine also publishes stories and novels in addition to poetry. These works explore a wide range of themes and provide readers with a well-rounded literary experience.


Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment