Best Bengali Tone in Poetry | Read Bengali Poetry

Bengali Tone in Poetry | Read Bangla Kobita Online

তপুর দুগ্গা

শ্রাবণ শেষে শরৎ আসে মনটা পুজোয় ভাসে,
পূজাকাশে ঝরবে কেন কান্না পালক কাশে?
তপু ভাবে স্কুল ছুটিতে অনেক জায়গায় ঘুরব,
মনের সুখে ইচ্ছে মতন খুশির হাত পা ছুঁড়ব।
মহাষষ্ঠী এলে পরে মা আঁকেন আলপনা,
মা আমার আপন দুগ্গা এটা নয়তো কল্পনা।
তপুর স্বপ্ন পূরণ করতে মা যে কাজের মাসি,
বলে ‘ও কিছু নয়…’খুঁক খুঁক রাতবিরেতের কাশি!
বলে ধুর পাগলা মায়ের জন্য এত্ত ভাবতে নেই,
মায়ের কথা ভাবি যেই হারাই কুল কিনারা খেই।

বর্ষা গেলে পুজো আসে মনটা তপুর ভাসে
ঢ্যাং কুরাক্কুর বাদ্যি বাজলে তপুর দুগ্গা আসে।
এইখানেতে এসেছিলে তপুর দুগ্গা আগে
এইখানেতে মন কেড়েছ কিশোর অনুরাগে।
হয়েছিল সেই মুহূর্ত চোদ্দ বছর আগে
বুকের মধ্যে তপুর দুগ্গা এখনও সে জাগে।
তপুর দুগ্গা দৃশ্যে যখন মানস পটে আঁকে
বাস্তব পটে ছবির মত নোনা নদীর বাঁকে।

পুজোর ছুটিতে

পুজোর ছুটিতে ঘুরতে গেছে
পাড়ার মনা সাধু
এক পলকে পাল্টে গেছে
দেখে বিকট জাদু।

হাসলে নাকি দূর হয়ে যা
যেই বলেছে মনা
এমনি সবাই হেসে ফেলল
বলল চাঁদের কণা।

ঠাকুর দেখব ঘুরতে যাব
সেলফি তোলা হবে
এমন সময় আর পাব কি
একদিন হল সবে!

আশায় যেন বুক বেঁধেছে
বন্ধুবান্ধব হিয়া
বনের খঞ্জন ডাক দিয়েছে
উৎসব শারদীয়া।

শরৎ ও শারদীয়া

শরতের সন্ধ্যায়
শুভক্ষণে শুভ গোধূলি লগ্ন
ঢেলে দেয় চাঁদের নান্দনিক জ্যোৎস্না।
যে আলো অন্ধকার জীবনে বড় মাঙ্গলিক, প্রয়োজন।
আর দূর থেকে ভেসে আসে কামিনী ফুলের সুবাস।
আজ যখন পুজো পুজো গন্ধে মশগুল হয়ে
ভোরের শিউলিফুল ঝরে যায় নীরব আত্মত্যাগে
একান্তে মৃদু আলোয় তখন দূর্বা-শিশিরের খুনসুটি
তার দেখাদেখি কাশবনের জানান দিয়ে মাথা নাড়া
‘দেখে ফেলেছি সব বলে দেব…’ এই লজ্জায়
অরুণালোক প্রকট হওয়ার আগেই হাওয়া।
দেখি দখিন মলয় বাতাসের কাঁধে হাত দিয়ে
হেঁটে যায় পেঁজা তুলো সাদা পোশাকে
বলতে বলতে এসে যায় শারদীয়া বেজে ওঠে
ঢ্যাংক্কুরাক্কুর!পদ্ম শাপলার সৌন্দর্যের পথ ধরে
এসে যায় আগমনীর মহামায়া, মনের শরদ বেজে ওঠে।

স্বাধীনতা

যা ইচ্ছে তা করল
জানলে না
যা ইচ্ছে তা বলল
শুনলে না
খুশি মত চলল
দেখলে না
যা স্বপ্ন তা সফল

যেদিকে দুচোখ যায় চলে গেল
খাঁচার পাখির বুকে হঠাৎ এসে লাগল গুলি
তৎক্ষণাৎ খাঁচা মুক্ত হল লুটিয়ে পড়া পাখি
শেষবারের মত উচ্চারণ করল পরাণ তোতাটির ঠোঁট
‘স্বা ধী ন তা পে য়ে ছি …. স্বাধীনতা…’

দাদুর লাঠিটা

দাদুর একটি শক্তপোক্ত লাঠি ছিল
যা কখনও হাত ছাড়া করতে দেখিনি।
তখন আমার কত হবে?ক্লাস লাইন…
বংশের বড় বলে বাবা মা দুজনেই টেনে যাচ্ছেন
একান্নবর্তী সংসার।
সকাল সকাল ভরা বর্ষায় মাঠে লাঙল দিচ্ছেন শুকদেবদা।
প্রথম মোরগ ডাকা ভোরে উঠে পড়তাম।
কেরোসিনের ল্যাম্পে জ্বলজ্বল করত আমাদের ভবিষ্যৎ।
পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম মা ব্যস্ত হাতে সামলাচ্ছেন
সংসারের যাবতীয় সমস্ত কাজ।

সেই বিরামহীন খেটে যাওয়া
এক মুহূর্ত তাদের বসে থাকতে দেখিনি কখনও…
এরপর মুখের ওপর কেউ যদি শোনেন ‘আপনি সংসারের জন্য কি করেছেন?’
সেই দুঃখে বুকে খুব কষ্ট নিয়ে হয়তো রাতের বিছানায় যেই শুইলেন
সেই শোয়া কাল হল,কাকুর ওপর রেগে গিয়ে আর উঠলেন না
দাদুর সেই শখের লাঠিটি বংশানুক্রমে বাবার হাতে চলে এল
দাদুর মত বাবা বলেন নিজের হাতের লাঠিটা কখনও ছাড়তে নেই তপু
কোনভাবেই তা ছেড়ে গেলে সম্বলহীন হয়ে পড়তে হয়…

বেকার জীবন

অনেকদিন শহর-মেসে না খেয়ে রাত কেটেছে।
পাগলের মত ছুটতে হয়েছে এ দরজা থেকে
ও দরজা, ইন্টারভিউ, জীবন-জীবিকার জন্য।
শহরের পাঁচ কিমি গাড়ি পথ হাঁটে অনায়াসে
দ্রুত, পরিশ্রান্ত, ঘেমো জামা পিঠে ব্যাগ-বোঝা নিয়ে।
অসুস্থ বাবা-মার অপারেশনের টাকা জোগাড়
কর্মহীন বেকার যুবক, দীর্ঘশ্বাস,ঘুম নেই
চুল পড়া, রোগা হওয়া, দুঃস্থ ঝোড়ো কাকের মত
নেশা করা, যেকোনো কাজ খোঁজার হাই টেনশন
এক্স গার্লফ্রেন্ডের শুভ বিবাহ বাড়িতে যাওয়া
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জীবনের দ্বন্দ্ব টানাপোড়েন
সহ্য করা চোখের সামনে অন্যায়, মাথা গরম।

সেদিন ইলেকশন প্রাককালে ব্রিগেড হচ্ছিল
জনসভা, গরম গরম আবেগী ভাষণ হল
প্রতিপক্ষের দোষ বেশ লাগলই জাঁকজমক
দালাল বাটপাড় ফোঁড় ব্যবসায়ী টোপে শিকার
ভার্চুয়াল জগতে চোখ ডুবে থাকা যুব সমাজ।
পাঁচ হাজার টাকা মাইনেতে চলেই বা কীভাবে?
ঘর ভাড়া, খাওয়া, যাওয়া আসা, জলের মিটার
ইলেকট্রিক বিল, সংসার থাকা পকেট খরচ
বারো ঘণ্টা ডিউটি ওভার টাইম পথ খরচ
সেজে গুজে অফিস যাওয়া, কলিগের আবদার
এভাবে হয় না,কোনরকম দিন চলে যায়
তবুও সব মেনে মানিয়ে নেয় বেকার জীবন।

তোমার ভালবাসায়

তুমি তো কর্মহীন জীবন
মেনে নিয়ে একসাথে থেকে
মানিয়ে কাটাবার প্রতীক্ষা
করা নিজের প্রিয় মানুষ
তাপদাহে মাথার আশ্রয়
মুষলধারে বৃষ্টির ছাতা
শরতের পুজো পুজো গন্ধ
পাতা ঝরা হেমন্তের দিনে
লুকিয়ে রাখা সুখের স্মৃতি
উদাসীন শীতে উষ্ণ রোদ
প্রেম আবেদনের সম্মতি
তীব্র উষ্ণ আকাঙ্ক্ষা বিলাস
বসন্ত লুকিয়ে রাখা ফুলে
বর্ণ গন্ধ মধু আকর্ষণ
মনে সানাই বেজে যাওয়া
সারাক্ষণ কুহু কুহু গান
মায়াময় রূপ রস মেখে
স্বপ্ন ইচ্ছা চাহিদাগুলোকে
তৃপ্ত তোমার ভালবাসায়।

ক্যাকটাস

অন্ধকার গলি ফাঁকে
সারি সারি বসে আছে টব
কটাক্ষের রোদ যেখানে সেজে গুজে বসে থাকে
যে গাছ পরিচর্যা করে তাকে কখনো
কোনোদিনও দেখা হয়ে ওঠেনা
টালি তিরপলের খুপচি ছাউনির
ফাঁক দিয়ে যতটুকু রোদ এসে পড়ে
তীব্র উপেক্ষার টবে
জীর্ণ চালের ওপর ইতিউতি
উড়াউড়ি খড়মড়িয়ে আঁচড় শব্দ আর ডাক
জেলে বাগদি পাড়ায়
রাতে যে রজনীগন্ধা ফোটে
চরম অভাবের সংসারে
তার সুবাস চুরি হয়ে যায় রাতের অন্ধকারে
এখানে ফুল ফোটে রোদ্দুর হয়
এক পশলা বৃষ্টিতে এক হাঁটু জল হয়
স্যাঁতস্যাঁতে ভ্যাপসা গুমোটে
যতটুকু প্রেম আদর যত্ন স্নেহ পরশ
তার কাছে এই কটা ক্যাকটাস ফুল
প্রকাশিত হওয়ার জন্য অনেক যথেষ্ট।

ফুল ছিঁড়ে নিয়ে

সন্ধ্যা সময়ে ফুলটা ঝরে যেত
সবেমাত্র সকালে ফুটতে না ফুটতে
তাকে তোলা হল সুনিশ্চিত
তারও স্বপ্ন ছিল বর্ণে সুবাসে
মুগ্ধ হোক মৌমাছি ভ্রমর
কীট পতঙ্গের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে
কি হল তার?ফল স্বরূপ
তাকে ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হল খুব সকালে
খোঁপার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য
আমি প্রকৃতি প্রেমিক
সাধারণভাবে ফুল ফুটবে বর্ণ গন্ধ বিলিয়ে
আপন নিয়মে ঝরে যাবে
এটাকে কি বলছ তাহলে
আমি সৌন্দর্যের উপাসক নই
আর এই হৃদয় নিয়ে ঘর বাঁধতে কি পারিনা?
আমি ফুল না ছিঁড়ে কথার ফুল
ফোটাই তোমার হৃদয় বাগানে
তবে কি আবেদনে সাড়া দেবে না?

পুজোর মধ্যে

প্রিয় শরত তোমায় বলি
নির্জন দুপুর ফোনে
সময় বেঁধে কেন চলি?
বসে ঘরের কোনে…

ঘরের বাইরে অনেক কিছু
কোথায় গেলে পাব
শরৎ রূপ সৌন্দর্যের পিছু
ছেড়ে কোথায় যাব?

পুজো পুজো গন্ধ আসে
হৃদয় বাদ্যি বাজে
পেঁজা তুলো নীলে ভাসে
শারদীয়া সাজে।

শিউলিফুল মুগ্ধ করে
কাশের বনে দোলা
শরৎ যেন ফাগুন গড়ে
মোটে যায় না ভোলা।

পিচ গোলাপ

এক প্রতীকী বা সংকেতের স্বরূপ
মনের কথা
বলতে না পারলে
ভালোবেসে একটা পিচ গোলাপ দিও
দেখবে
তৎক্ষণাৎ না বুঝতে পারলেও
ঠিক বুঝবে প্রস্তাব একদিন
প্রেমের ইঙ্গিত
মানুষের মন
পরিস্থিতি
জীবন
কারণ আজীবন মানুষ
প্রেম ভালোবাসার প্রত্যাশী…

কমলা গোলাপ

গাঢ় ঘন নিবিষ্ট আবেগ
রোমান্টিকের মত
গোড়ালে সুসম্পর্ক
একতরফা একজন এগোতে চাইলে দিও
কমলা গোলাপ ততক্ষণ থাকে কষ্টে
যতক্ষণ না
কাছের মানুষ
নিজের করে
বুঝতে পারে
একবার বুঝে ফেললে
একসাথে ঘর বেঁধে
জীবন কাটিয়ে দেওয়া
কোন ব্যাপার না…

হলুদ গোলাপ

আমি তোমাকে হলুদ গোলাপ চাই দিতে
যে তোমাকে অন্য কিছুতে ভাসতে বলবে না
কিংবা কোন কু-প্রস্তাবের কথা বলবে না
কিংবা কোন রোমান্টিক
বা কোন প্রেম-পিরীতি পরকীয়ার কথা শোনাবে না।

আমি বিরল এবং চমৎকার কেউ নন
যে প্রথম দর্শনে মনমুদ্ধ হয়ে যাবে
বা সুদর্শন ও গুণগতর কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসায় ভরিয়ে দেব
আমি বিশুদ্ধতম পবিত্র মন ছুঁয়ে বলছি
আজীবন বন্ধুত্বের সুসম্পর্কে থাকব

আর অন্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য নেই
যদি ধরতে পারো বলো শুধরে নেব
আমাদের সম্পর্কের প্রথম শুরুর মুখে
আমি তোমাকে হলুদ গোলাপ দিতে চাই।

অতৃপ্ত গোলাপ

তোমাকে জীবনের প্রথমবার
দিয়েছিলাম রক্ত গোলাপ
কলেজে তখন তুমি জীবন্ত নায়িকা
ছাতিম গাছের তলায় একা
মনে পড়ে একুশের চাঁদ তখন সবে উদীয়মান
শেষ ক্লাসে তুমি নেই
শহরের গলিপথে দুজন
শক্ত করে ধরা হাতে
একই গান বারবার শুনে মুখস্থ হয়ে যাওয়ার মতন তুমি
আমার গীটারে বেজে ওঠো
ভালোলাগা কথাগুলোর মতো কথা
লেখা থাকে জীবন জুড়ে
তোমার দুচোখে এখন নতুন স্বপ্নের নতুন গান
আমি এখন শুধু অতৃপ্ত গোলাপের দীর্ঘশ্বাসে
তুমি অন্যের ভালো বাসায় আলো করবে
জেনে নাও
আমিও রইব একান্ত ভালোবাসায়।

বোবা গোলাপ

মনে করো আমি একদিন কুঁড়ি ছিলাম
তখনও আমার অনেক কথা ছিল বুকে
তখন তা কেউ খোঁজ রাখেনি
আমাকে যত্ন করে কীট দংশন এড়াতে হয়েছে
পর্যাপ্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে
নিজেকে গোলাপের মত গোলাপ হওয়ার
বিকশিত করবার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়েছে
যেমন একজন মানুষের মত মানুষ হয়েছেন
কেউ কেউ বোঝে এইসব
কেউ কেউ বোঝে বলেই নিঃশব্দে ভেতর
জন্ম নেয় প্রকৃতি প্রেম
আমি এত সুদূরপ্রসারী চিন্তাশীল দার্শনিক
হতে পারিনি
তাই হয়তো গোলাপকে বোবা বলে মনে হয়।

আমি দেখছি ধীরে ধীরে বোবা গোলাপের মত
আচমকা অদ্ভুত হয়ে যাচ্ছি সংসারে
হতবাক হয়ে যাচ্ছে চারপাশ
ধারালো রাতের মত অন্ধকার চেপে বসছে
যাজক হয়ে কাউকে মনের কথা
বোঝাতে পারছি না
যে যার মত শৌখিন জানলার পাশে বসে
চাঁদের কথা ভাবে
অথচ সামনে আয়না ধরলে
একটা বোবা গোলাপের ছবি ভেসে ওঠে।

শীত চাঁদ ও আমি

হিম জ্যোৎস্না রাতে একা হাঁটছিলাম
হঠাৎ একটা কালো বিড়াল
রাস্তার বামদিক থেকে ডানদিক চলে গেল
কালো কেন অন্য কিছু হতে পারত?

অন্য কেউ হলে হয়তো বলত ঠিক
ভাগ্যে ছিল তাই হয়েছে
ভাগ্যকে তো কেউ আর খণ্ডাতে পারবে না
আমি ওসব না ভেবে চলে গেলাম চাঁদ দেখতে।

আমার কিছু মনে হলেও কিছু করতে পারব না
চাঁদের তীব্র জ্যোৎস্নার দরুন
আশেপাশে তেমন কোন
থুত্থুরে নক্ষত্রদের দেখতে পাচ্ছি না।

অথচ যাকে চাঁদ ভেবে এসেছিলাম
আসলে এটা একটা মতিভ্রম
দেখি শীতেল রাতের মধ্যে
অচেনা পাহাড়ি এক চাঁদের মত ফুল।

শীতের অভিমান

অসহ্য গ্রীষ্ম তুমুল বর্ষার
অন্তরালে শীতকে কেউ মনে করেনি
তখন তোমার একটু অভিমান হয়
একটু সম্মান একটু গুরুত্ব আর
ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু চাও না

কোন সুন্দর ও সুবাসের ফুলকে
যদি পতঙ্গেরা উপেক্ষা করে চলে যায়
মনোরম দক্ষিণ বাতাস হয়ে পড়ে
রুক্ষ শুষ্ক থুত্থুরে উত্তুরে বাতাস
সে দুঃখের শেষ থাকে কি ফুলের?

পাগল প্রেমিকের প্রত্যাক্ষিত গোলাপের মত
বেচারা শীতের সব অপেক্ষার সীমা অতিক্রম করে
এক ঋতু-জীবনের শেষ পর্যায়ে
সারা শরীর জুড়ে হিম আর হিম
ঠাণ্ডা আর ঠাণ্ডা, শীত আর শীত
এখন শীতকে শীতের মতন মনে হচ্ছে।

শীতের আমেজ

প্রথম মোরগ ডাকা ভোরে
বিছানা ছাড়তে চায় না মন
প্রথম কাক ডাকা ভোরে
টেবিলের ওপর চায়ের পেয়ালায়
প্রথম উষ্ণ চুমু ভালো লাগে

মোয়া মুড়কি খেজুরের রস নলেন গুঁড় পাটালি
আর একসাথে অনেকে রোদ পোহানো
পৌষমেলা মিলন মেলা বইমেলা বড়দিনের পিকনিক
আর ভরদুপুরে শীত রোদকে কে না ভালোবাসে…

রোদের সেই ভালোবাসা পাখির ডানায়
দেখতে দেখতে নেমে আসে সন্ধ্যা
মনের পিয়ানো বেজে ওঠে টুং টাং
ক্ষেত খামার ঘর সব পরিপূর্ণ

কৃষাণ ভাইয়ার হাতে ধারালো কাস্তে চাঁদ
লক্ষ্মীপেঁচা ডেকে ওঠে গভীর রাতে
সবেদা গাছে ঝুলে থাকে বাদুড় মাথা নিচু করে
ইঁদুরেরা করে মাটির ঘর

গর্তের মধ্যে অঢেল ধান
ক্ষেত খামার আর মাঠে…
বাঙালির ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব
শীতের আমেজ জল ছোঁবে না ঘাটে।

শীতে আশা

শীত নেমেছে ভোরের বেলা
উত্তর হাওয়া করে খেলা।

শাক সব্জি ধান খামার কুঠি
মনের কথা বলব দুটি?

কুয়াশা খুব সন্ধ্যা সকাল
বলতে পারবে এটা অকাল?

নতুন চালের পিঠা পুলি
পরিযায়ী পাখির বুলি।

হিজল কাঁপে হিমেল হাওয়ায়
বড়ি পড়ে উঠোন দাওয়ায়।

আগুন পোহায় অনেক মানুষ
চড়ুইভাতির উড়ছে ফানুস।

স্নানের ঘরে ভীষণ কষ্ট
জল দেব কি সময় নষ্ট?

শীতের সময় আশায় একা
প্রিয় মানুষ হবে দেখা।

শীতেল চাঁদ

পৌষের চাঁদের সামনে দাঁড়াই যখন
দেখতে পাই একটি আজব আয়না
দেখতে পাই পূর্বপুরুষের ছবি
গোলাপের মত কি সুন্দর ছিল তারা

ভাবি আমি কোন্ গ্রহ থেকে এসেছি?
আমার মধ্যে চোদ্দ পুরুষের কোনো গুণ
প্রকাশ পেল না! অকাল কুশপাণ্ডব…
আমি কেন এমন এই ব্যতিক্রম?

শীতেল চাঁদের সামনে দাঁড়ালে মনে হয়
গরম ভাত জল ঢালা ঠাণ্ডা ভাত হয়ে গেছে
একবেলা রান্নায় দুবেলা চলে আমার
ভাবি এসব বলে লাভ কি?

খাবারে লবণের মতো যদি হতাম
প্রয়োজনে ফুরিয়ে গেলে ক্ষতি কি?
আশায় বাঁধি এসবের পরিবর্তন হয়
চলে যেতে চাইলে নৌকার নোঙরে টান পড়ে।

শীতেল চাঁদটা ভালোবেসে
নিঃস্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রয়
কম বয়সীরা বয়স্ক চাঁদ বলে তামাশা করে
সবুর করো ভেজা শীত-চাঁদ
একদিন ফাগুন নিয়ে আসবে।

সুস্মিতা তোমায়

শৈশবের দিনগুলো কীভাবে কেটেছে বলতে পারব না।
যেভাবে একশো বছর অন্তর পৃথিবীর বুকে জটিল ব্যাধি হয়।
তবুও তাকে নিঙড়ে আনি মাতৃভাষা, বিপ্লবী জেহাদ।
এখনও আমরা কাঁটাতার ডিঙোতে পারিনি।
চাঁদ কিন্তু এসব ছাড়িয়ে গেছে
পাখির ডানায় মুক্ত স্বাধীনতার চিন্তা
সোনালী রোদ কিন্তু ওসব মানে না, জেনেছি বারো বছর পর।
একটি খেসারি ফুলের মুখ,আকাশ থেকে এক ফোঁটা নীল
নিয়ে তোমার হাতে দিয়ে গেল।
এরচেয়ে ঢের বেশি দিতে পারে অনেকেই….
হয়তো ভাবতে পারো “এইটুকু নীল দিয়ে কী বলতে পারে ও “
সূর্য কিন্তু ভালোবাসার জন্য কোনরকম পক্ষপাতিত্ব করে না
আমি আলপথ ধরে হাসতে হাসতে চলে গেলাম সুস্মিতা
বলে গেছি পৃথিবী ভালো থেকো,এক বুক ভালোবাসা নিয়ে।

মা আমার

শীর্ণ দেহ জীর্ণ শাড়ি খুপচি ঝুপড়ি ঘরবাড়ি,
নীরব অথচ অশান্ত নদীটির ওপারেই অট্টালিকার সারি।
ফাগুনের উদাসী দুপুরে রেললাইনের পাশে
সবুজ ঘেরা ঐ চেরি গাছটার পাশে
কম্পিত ছায়ার মতো রোজ।

সেই দুটো রুটি নিয়ে কোন্ সকালে স্কুলে গেছে ছেলেটা
ওর বড় ইচ্ছে,ও একজন বড় ডিজাইনার হবে!
ও যে কী এত বিড়বিড় করে ভাবে একা
মনের চোখে মা রাখে তার ঠিক খোঁজ।
পথে একদল আবছা ছায়া দেখে কিছুটা
এগিয়ে গিয়ে কোলে তুলে
পাখির শাবকের মতো আঁকড়ে রাখা বুকে আদর
চোখে নীরব অশুভ আধারে
সেই চিরভাস্বর মুখ।

ফাগুনের হিমেল চাঁদটা ধরেছে
মায়ের সেই আগলে রাখা গান
কোকিলটা আজ ফিরে গেছে
হয়তো বাংলার সব গাছ ফুল শিশু
সুগন্ধ আর বর্ণ ঢেলে ঘুমিয়ে পড়েছে
আমার মায়ের তো ভালোবাসা স্বপ্ন থাকতেই পারে।
পৃথিবীর সকল মায়ের মুখে শুনতে পেতাম যদি
সেই আদুরে মাখা দুখ্
“খোকা আমায় ছেড়ে যাস না,খোকন তুই ভালো থাক্
আমি মেলাতে থাকি,খুঁজতে থাকি আমার মায়ের মুখ
আমার মায়ের সুপুত্রকে,আমার বাংলা মায়ের আদর,জুড়িয়ে যায় বুক।

জংশন

মনখারাপ, নেই নেই আর নেই
আর ভাল্লাগেনা
স্টেশনটি একদিন ছিল জংশন
সময় বিশেষে আজ দুর্ভিক্ষের ক্যালেন্ডার
পড়ে আছে ভিখিরির কৌটো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে দু চারটে অচল পয়সা
দু চারটে নেড়ি কুত্তা ধুঁকছে
টিকিট কাউন্টার ঢেকে গেছে আগাছায়
পকেট মানির দিকে তাকিয়ে আছে প্ল্যাটফর্ম
কাছেই মজে যাওয়া বুড়ি গঙ্গা বুঝত তার ব্যস্ততা
একাকী জীবন যেন যে যার মতো
কেউ কাউকে পোঁছে না

বর্ষামুখর বিকেল,খুব প্রবল দুর্যোগ
মন ভালো নেই, আর কিছুই ভালো লাগছে না
কোনায় কোনায় জং আর ভাঙাচোরা খসে যাওয়ার গল্প
বিজ্ঞাপনের রঙচটা দেওয়াল ধরে
লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধা
যার গল্পটা শোনা হয়নি আদৌ
একটা বৃদ্ধার বুকের ভেতর
বয়ঃসন্ধিকালের এক কোলাহল ঝঞ্ঝাট স্টেশন জংশন।

রিফিউজি

লোটা কম্বল বোচকা পুঁটুলি সম্বল
মোটবাহী বোঝাবাহী একদল যাযাবর।
এদের কাছে আবার শীত বর্ষা গ্রীষ্ম?
যেদিকে দুচোখ যায় চলে যায়…
কিছু কিছু লোকের চোখের জল কোনোদিন শুকায় না।
দানাপানি আয়ুরেখা সময় ফুরিয়ে আসছে
কেউ কেউ ধপ কেউ কেউ খপ
নিজের দেশ নিজের ভাই আজ থেকে হয়ে গেছে পর
শাসিয়ে বলেছে, ‘একবার এই ত্রিসীমানায় পা দিয়ে দেখিস‘
খালের ধারে কোনোরকম রাত আসত নেমে
খাদের ধারে কোনোরকম দিন কাটতো যাদের
ললিপপ চুষতে চুষতে কান্না থামিয়ে
গা শোওয়া শিশু মেয়েটা দেখে নিচ্ছে তার মায়ের কান্না
খাদের ধারে এর আগের দিন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল
খাদের ধারে এর আগের দিন পর্যন্ত রক্ত মাখেনি চাঁদ
খাদের ধারে এর আগে বাসা ভাঙেনি কোনো পাখি
এসবের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে
যশমান বাঁচার গান বেঁধে ফেলেছে।

উপেক্ষা

আমাকে দেখে না দেখার মানে
আমাকে বুঝে না বোঝার স্নানে
আমাকে জেনে না জানার বেলায়
আমাকে চেনে না চেনার খেলায়
চলে যাওয়ার নাম
অকালে ফুল ঝরে যাওয়া।
ফুলের গায়ে টোকার আদর দিয়ে
আমার ভালবাসার হৃদয় নিয়ে
খেলে গেছ কূটনীতির দাবার চাল
রাখবে বলে রাখনি ফাগুন কাল
ঈঅমনযোগীর নাম
উপেক্ষা খুঁজে পাওয়া।

নোনাজল

পুবের হাওয়া উঠলে
বুকটা কেমন করে ওঠে
মানুষ আর মানুষ থাকে না।

পুবের ঝড়ে নদী
যেন উছল বিশাল বিপদ
নদী আর নদী থাকে না।

বেসামাল নদীবাঁধ
যেন সব সমান করে দেয়
পাড়া আর পাড়া থাকে না।

ঘরে ঘরে নদী
নদী চেপে বসে মনে
জীবন আর নোনাজল এক হয়।

হাইকু

ক

গ্যালে আড়ালে
হৃদয়হীন ভয়
তুমি না হলে।

খ

শরীর ভালো
বসন্ত জুড়ে আলো
হৃদয় জ্বালো।

গ

হেমন্ত এলে
সন্ধ্যার ছাতিম গন্ধে
জোছনা খেলে।

ঘ

কাছের বন্ধু
আজ তুমি কোথায়..
সর্বহারা যে…

মনের অবস্থা

গোলাপ দেব বলে দাঁড়াই এখানে
এই পথ দিয়ে টিউশনে যাও রোজ
কার ফুল নেওয়ার প্রত্যাশায় থাক
আমার কিন্তু লাটে উঠে গ্যাছে ভোজ

ফুল দেব বলে দাঁড়াই এখানেই
চোখের সামনে নায়িকার মতো যাও
দেমাকি কায়দায় বুকের কষ্ট বাড়াও
বুঝে না বোঝার ভান করে কী পাও?

সন্ধ্যার আলোয় দারুণ ফাঁকা লাগে
কবিতাকে ভীষণ আঁকড়ে ধরি
বকতে বকতে মাতাল চলে যায় রাতে
নিঃসঙ্গ নেশা মাথায় চেপে মরি

গোলাপ দেওয়া হল আর কবে!
সানাই বাজল তোমার ঘরে যখন
আমার বুক ভেঙে যায় টুকরো টুকরো হয়ে
চোখের জলে ডাকল আকাশ তখন

আমার গোলাপ আমার বুকেই থাক
বলে আর কী হবে তাতে
প্রেমের বাতি জ্বললো না আমার
তোমার সুখে বিকেল রাঙুক ছাদে

আমার সেই প্রেমিকা হবে?

তুমি আমার একজন অতি সাধারণ প্রেমিকা হবে?
যার জন্য আমি সারাবেলা ভাবের ঘোরে থাকবো
চাইলে কাছে পাবো, দেখা করব, বেড়াতে যাবো
হাসবো, খেলব, কাঁদবো, হৃদয়ের দুটো কথা বলবো
আবার আদর করে কাছে ডাকবে
তুমি আমার সেই প্রেমিকা হবে?

যে রোজ কল্পনায় আসে
আর শান্ত স্বরে
আমায় ডাকে নিরুদ্দেশের পথে!
যাকে খেতে বসলে মনে পড়ে
বই খুললে মনে পড়ে
রুমে একা থাকলে মনে পড়ে
হোঁচট খেলে মনে পড়ে
খেলতে গেলে মনে পড়ে
জিভ কামড়ালে মনে পড়ে
যার জন্য হলে হতে পারি একদম বাউণ্ডুলে বেকার!
যার কোন কাজবাজ নেই, হাতে অঢেল সময়
যে রোজ বাস্তবে আসে আর হাসি মুখে
না বলা কথাগুলো শুনে নেয়।
যে আমার ছোট্ট ছোট্ট শখ মেটাতে সদা প্রস্তুত!
হবে আমার সেই প্রেমিকা? হবে?

আমার আকাশের শুধু একটাই ময়না পাখি
মুক্তাকাশে শুধু উড়বে, কথা বলবে, ভালবাসবে
ঘর বাঁধবে, সুখে সংসার করবে
আমার ভালোমন্দ সব মেনে নেবে।
আমার আকাশের শুধু একটাই উজ্জ্বল তারা।
যে জীবনের দীর্ঘ নিবিড় রাত ঘোচাতে সদা প্রস্তুত
হবে আমার সেই প্রেমিকা? হবে?

এক্স গার্লফ্রেন্ড

কিছুক্ষণ আগের মুহূর্ত পর্যন্ত
হাত ধরে ঘুরেছি সারাটা শহর।
ট্রেনে বসে বসে আলুর চিপস খেয়েছি
টিপটিপ লজেন্স কিনে দিয়েছি
খেয়েছে, পপকর্ণ ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়েছে।
একটি হেডফোনে একই নাইন্টিজের গান শুনেছি দুজনে।
ওভার ব্রিজের রেলিং ধরে দাঁড়িয়েছি
দক্ষিণের হাওয়া গায়ে লাগিয়েছি।
বিকেলের পাখিকে দেখিয়ে খুনসুটি করেছি
‘তুমি এভাবে কবে আসবে বলো?
আর আমি পথ চেয়ে বসে থাকব দরজা পর্যন্ত…’
পার্কের বেঞ্চিতে কোলে মাথা দিয়ে সন্ধ্যার চাঁদ দেখেছি
ভালবাসার কতরকম কথা বলেছি…
ভালবাসার স্বপ্নের ঘর বাঁধবার ছবি এঁকেছি

শুনে এই নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বেকার ছেলের
বেঁচে থাকবার উদ্দীপনা জেগেছিল ভীষণ…
সেই মধুর মুহূর্ত ছবি টাঙিয়ে রাখলো কলজের দেওয়ালে

হঠাৎ করে কি হল বুঝলাম না ফোন সুইচ অফ্
পাঁচ বছর কোন পাত্তাই নেই
নেই কোন হদিস, খোঁজ খবর…
হঠাৎই সুমিত বন্ধু ‘উপহার’ শপিংমলে
লিফ্টের দিকে আঙুল বাড়িয়ে বলল
ওই বিবাহিত কাপলের মধ্যে
কপালে সিঁদুর লাগানো মহিলাটি
তোর ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’ না?

দুর্ভাগ্য

ভাগ্য আমার সাথে কোনদিন ছিল না থাকবেও না
তার কারণ একটাই
বহুদিন আগে থেকেই আমার কপাল আমি ফাটিয়েছি
বুকের মধ্যে পাথর জমেছে।
মাথায় ভারী বোঝা বয়েছি
কাঁধে বয়েছি ডিগ্রির কাগজপত্র
তখন আমাদের সুখের সংসার
ঠাকুরমা আমাকে বংশের প্রদীপ বলতেন।
আমার বাবা সবার জন্য ভাবতেন।
অথচ স্বার্থ ফুরিয়ে যেতে স্বার্থপরের মত
একে একে চলে গেছেন সবাই।
একা পড়ে থাকলেন আমার দুর্ভাগ্য
সে ছাড়া আমার আর কেউ থাকল না…

অনাবৃষ্টি

কতদিন বৃষ্টি হয় না
রোদে রোদে হেঁটে গেল রোদেলা বসন্ত
মাটির বুকে শুধু অতৃপ্ত বাসনা
ধুলো বালির চাদর চেপে বসল গাছটির গায়ে
শুধু শুধু রাত জেগে গেল শুকনো বসন্তের চাঁদ
কতদিন বৃষ্টি হয় না
বৃষ্টির স্পর্শে ভিজে যাওয়ার অভ্যেস
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কদম ফুল ফোটে
কৃষাণ বন্ধু মাঠে নামে ট্রাক্টর চালায়
সোঁদা মাটি গন্ধে বুক ভরায় পরিবেশ
বর্ষার সান্নিধ্য কতকিছু হয়
এখন মাঠের দিকে ভালো করে তাকানো যায় না!
কত অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষায় চেয়ে আছে চাতক পাখি
এখন হাতে হাতে ডিজিটাল আলো
বৃষ্টি ঝরলে হয়তো
ডিজিটাল ছেড়ে দৃষ্টিগোচর হবে প্রাকৃতিক আলো।

পেরেক ঠুকে কথা

একটি কথা বলতে পারি
যদি মানুষ হও
কথা দিয়ে কথা রাখবে
দখিন হাওয়া বও।

ঠান্ডা মাথায় করছো যত
কারচুপি সব কাজ
স্বার্থের জন্য স্বার্থসিদ্ধি
পড়বে মাথায় বাজ!

বাজ তো নয় বলো ব্রম্ভাস্ত্র?
পেরেক ঠুকে কই
সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে
সুনাগরিক হই।

পেরেক ঠুকে কেন বলব
যদি বলা হয়
সম্মুখে প্রতিবাদ কর?
পেছন পেছন নয়!

তপন মাইতি | Tapan Maity

Bharatpur Patachitra | ভরতপুরের পটচিত্র | 2023

The legend of Jagannath | জগন্নাথের কিংবদন্তি

মানব কল্যাণে রামকৃষ্ণ মিশন | Ramakrishna Mission | 2023

Chandannagar Jagadhatri | চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবক্তা কে ??

Shabdodweep Web Magazine | Bengali Tone in Poetry | Tapan Maity

Bengali poetry has a unique charm that blends deep emotions, cultural heritage, and lyrical beauty. Bengali Tone in Poetry plays a crucial role in defining the essence of Bengali literature, making every Bengali poem (বাংলা কবিতা) a masterpiece of expression. The rhythmic flow, poetic structure, and cultural depth of Bangla Kobita create a distinct literary experience that continues to captivate readers worldwide.

Understanding Bengali Tone in Poetry

The tone of Bengali poetry is its heart and soul. It reflects emotions, philosophies, and the beauty of nature in words that resonate with readers. Whether melancholic, romantic, patriotic, or philosophical, Bengali Tone in Poetry determines how a poem communicates with its audience.

Characteristics of Bengali Tone in Poetry:

Emotional Depth – Bengali poetry often explores deep emotions like love, sorrow, and longing.

Melodic Flow – The rhythmic nature of Bangla Kobita makes it musical and engaging.

Cultural Reflection – Bengali poetry often reflects societal changes, historical events, and cultural richness.

Symbolism and Metaphors – Many Bengali poems use metaphors to enhance their meaning and impact.

Evolution of Bengali Tone in Poetry

Over centuries, Bengali literature has evolved, and so has its poetic tone. From the classical poetry of Rabindranath Tagore and Kazi Nazrul Islam to contemporary poets like Tapan Maity, Bengali Tone in Poetry has adapted to reflect changing times while maintaining its artistic depth.

Classical Period

Poets like Rabindranath Tagore introduced a lyrical and philosophical tone in their works.

Kazi Nazrul Islam’s poetry infused rebellion and revolution, giving Bengali poetry a strong, fiery tone.

Modern and Contemporary Period

Modern poets experiment with free verse and personal expressions.

Tapan Maity, a poet featured in Shabdodweep Web Magazine, brings a unique blend of traditional and modern tones in his poetry.

The Role of Shabdodweep Web Magazine in Promoting Bengali Poetry

Shabdodweep Web Magazine has been a major platform for preserving and promoting Bengali literature. It regularly publishes Bengali poems (বাংলা কবিতা) by talented poets like Tapan Maity, ensuring that the beauty of Bengali Tone in Poetry reaches poetry lovers across the world.

Why Read Poetry on Shabdodweep Web Magazine?

Authentic Literary Content – Features works from established and emerging poets.

Regular Poetry Publications – A constant flow of fresh and thought-provoking Bengali poetry.

Cultural and Literary Significance – Promotes traditional and modern expressions of Bangla Kobita.

Exploring the Different Tones in Bengali Poetry

Romantic Tone

Bengali poetry is known for its intense expressions of love and devotion. Poets like Tagore created verses that touched the deepest corners of the heart.

Patriotic and Revolutionary Tone

Poetry has played a major role in Bengal’s socio-political movements. Kazi Nazrul Islam’s compositions, filled with a revolutionary tone, inspired many freedom fighters.

Melancholic and Philosophical Tone

Bengali poets often use a melancholic tone to reflect on life, destiny, and human emotions. Tapan Maity’s poetry in Shabdodweep Web Magazine beautifully captures this essence.

Nature-Inspired Tone

Bengali poetry often finds inspiration in nature. The scenic beauty of Bengal has been captured poetically by numerous writers.

The Impact of Bengali Poetry on Readers

Emotional Connection – The tone of a Bengali poem influences how deeply it resonates with the reader.

Inspiration and Reflection – Many readers find motivation and solace in the words of poets.

Cultural Appreciation – Reading Bengali poetry enhances understanding and appreciation of Bengali traditions and values.

FAQ on Bengali Tone in Poetry

What makes Bengali Tone in Poetry unique?

Bengali Tone in Poetry is unique due to its emotional depth, rhythmic structure, and cultural reflections, making it an integral part of Bengali literature.

Where can I read Bengali poetry online?

You can read high-quality Bengali poetry on Shabdodweep Web Magazine, which publishes works by poets like Tapan Maity.

What are the different tones found in Bengali poetry?

Bengali Tone in Poetry includes romantic, patriotic, melancholic, and nature-inspired tones, each bringing a unique emotional experience.

Can I contribute my Bengali poetry to Shabdodweep Web Magazine?

Yes! Shabdodweep Web Magazine welcomes submissions from talented poets who want to share their Bengali poems (বাংলা কবিতা) with a broader audience.

How does Bengali Tone in Poetry impact readers?

The tone of Bengali poetry evokes emotions, inspires thoughts, and connects readers to the rich heritage of Bengali literature.

What role does Bengali poetry play in Bengali literature?

Bengali poetry is a significant part of Bengali literature, reflecting cultural traditions, social changes, and artistic creativity.

Conclusion

Bengali Tone in Poetry is an essential element that defines the depth and richness of Bengali literature. Whether through romantic expressions, revolutionary verses, or philosophical reflections, Bengali poetry continues to inspire generations. Shabdodweep Web Magazine serves as a crucial platform for preserving and promoting this literary art form, showcasing the works of poets like Tapan Maity. Explore the world of Bengali poetry today and experience the magic of Bangla Kobita!

---

Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio