Best Theme in Bengali Poetry | New Ideas of Bangla Kobita

Theme in Bengali Poetry | Best Bangla Kobita

প্রসন্নতাগুলো

ভালবাসা দেহ পেয়ে গেছে।
গভীরে জাগর চোখ।
চাতকের জলচৈ বুকে
শ্রাবণ লেখা হোক.
লিখেছো কী‌? লিখেছো কী মেয়ে‌?
পুরনো শস্যের বীজ
অনেকটা শেকড় চারিয়েছে বিস্তারে
এখন প্রসন্নতাগুলো ফিরে ফিরে এলে
দেহের দেউল ঘিরে নাচ হয়
প্রদীপ ওঠে জ্বলে
ধূপগন্ধময় চরাচর জুড়ে
পাখি ওড়ে
পাখি গান গায়
গুঞ্জরিত মুকুল মঞ্জরীগুলো
ঈশ্বরাভিমুখে চলে।

ঘনিষ্ঠের ঘর দোর

যখন যেখানে যে
সঙ্গ চেয়ে বসেছে জমাট

ঘনিষ্ঠের ঘর দোর
অনিষ্ঠের আখুটে বালিই গিয়েছে ভ’রে।

একমুখে জল ঢেলে
অন্য মুখের তৃষ্ণা মেটানোয়
তবু, ঘনিষ্ঠের ঘর কেন উন্মুখ!

ঘোর লাগে।

অবেলার মেঘে ভেসে শিশ্ন ভেজে
বীর্যকুসুমেরা আলো পায়

ঘনিষ্ঠ কী জানে না সেকথা?

জানে, বিলক্ষণ জেনেছে; দহন
তাপিতের ঘরে শুশ্রূষা পেলে

ভোর লিখে ফেলে।

মুহূর্ত

আঁখি ভেসে যায় স্বতঃশ্চল।
মুহূর্ত জেনেছে।

জেনেছে, অচলের দাহ ঠাই-মেখে
অর্পিত দেহ সম্বিত ফিরে পায়

মুহূর্ত ফেরায়।

মুহূর্ত কখন আসে
মুহূর্ত কখন যায়

আসঙ্গ অতল অভিমুখে
আঁখি ঘুরে থাকে।

সাধারণের সব কী খেয়াল হয়?

ও উন্মন-মন,
এতটা উন্মনা হলে চলে?

চলে না… চলে না…
লোকে শুধু পাগল পাগল বলে।

সাঁতার

দূর কতটা গেলে সমুদ্র সইবে না
অলিখিত; কেউ বলেনি।

জলকে বলেছিলাম, ‌‘দেখো জল,
ও কিন্তু সাঁতার শেখেনি।’

তুমি চলমান হলে উপলবাধা ধুয়ে তুলবে বালি
সভ্যতা বুকে মাটি পাবে

জল দেখেনি…

হয়তো দেখেছিল;
মোহবদ্ধ চোখ খেয়াল করেনি।

হয়তো বা ভেবেছিল ডুবে ভেসে যাওয়া আছে
এখানের পাঁজর খুইয়ে ওখানের দাঁড়ে বসা পাখি

চরে নেচে যাবে

জনাদশের চাপ বলে কিছু একটা তো আছে
প্রদীপন বালিয়াড়িগুলো গায়ে জল মাখে।

সম্বল

সময়ের উড়ো ঝুরো ধুলো
চোখে ঠেকে ঝরিয়ে গেল জল।

বলি, ‌‘ও, জল, এই কী জীবন দিলে
কি জীবন দান !

নিজের গলায় মালা দিতে দিতে
দিন অফুরান।

ঠেক প্রধান জীবনে সংযত
রইলো না খেলনা-বাটি ত্রাণ…

কোন ঠেকায় জিরবে নুনছাল?

যেটুকু আয়ুধ ছিল দাঁড়ানো সম্বল
যথাসাধ্য অভ্যাস বসে সেরে নিলে শুভেচ্ছাস্নান

প্রশ্নচিহ্নে বাগ্ময় নিহিত কল্যাণ।

উধাও

ইচ্ছেরা এখন দলবদ্ধ থাকে না আর
ডানা মুড়ে একা একা ঘোরে।

পোষা পায়রার বকম বকম রঙ তার।

বাঁচোর দলের মতো
শান্তির খোঁজে চঞ্চল, স্বেচ্ছাচারও বটে;

বহুরূপ তার।

একা ইচ্ছে বহুত্ব পায় স্বজন পোষণে
বহুত্ব কি একত্ব হবে গৃধ্নু নিধনে?

আলো নিবে যায়।

ইচ্ছেখুশি ফাগের আওয়াজ পা নাচায়।

বাঁচতে চাওয়ার ভাবখানা আজ দেশ থেকে উধাও
ইচ্ছের ভিতর থেকে উধাও —

ঝড়

সব ধ্বংস, সব নিপাত যাওয়া থেকে
চোখ উঠিয়ে নিই ভাবি।

ভাবি, বীজ বুনে দিই সবুজের।

শেকড় সঞ্চালন করি;
খরা কেটে যাবে।

এ পর্যন্ত মেলে না বাস্তবে।

ভাবনাগুলো বোধনের জলে স্নানে গেলে
কৌটো খুলে রঙ গুলে যায়।

আর মজা নেয়;
দেদার মজা ছুঁড়ে দেয় চোখের ঈশানে।

গলে যায় চাঁদ।

নিজেদের উৎকৃষ্ট যাপন অন্যদের অগম্য অগোচর হলে
গোধন চরানো রীতি-প্রথাগুলো বাঁশিই ফেলে যায় জলে।

ধেনুদের পায়ে পায়ে ওঠে ধূলোঝড় —

জলের গ্রাস

তোমার কথাই বলবো ভাবি;

জলের গ্রাসে ফ্যারিংস ফুস!

বলবো বলে ভোর কুয়াশায় বেরিয়ে পড়ি
সকাল সকাল পাঠ মনস্ক;

একার গলায় ভরসা রাখি না।
পৃথক দশটা ভরসা ঢিল সঙ্গে রাখি।

ঈশারা যে দিকেই ফুটুক সূত্রধরের পাপড়ি খুঁজি।

মঞ্চে উঠে আলটপকা অন্য ধ্বনি।

জলের কব্জা ,যে ধর্মটা আগুন নেভার;
চটকে চুল; অভিমানী —

মেঘলা আকাশ আতস আলোয় হীরক যাচে।

গড়িয়ে চলা জলের মোহ জলকে গ্রাসে —

মিশি কার জলে

মিশি কার জলে?

চিতল গরল ধুয়ে
জলই দলভুক্ত যদি কেউ

ঢেউ ভেঙে ধরে রাখে ফেউ

সমুদ্র নোনা আকাশ পৌঁছুবে না!

সুপিরিয়র চিনি সকলে বকলে
নির্ধারণ স্নানযাত্রা অশ্রু বিগলন কাড়া;

সাময়িক কুঁজ তৃষ্ণা রটায় না।

পলে পলে ভোঁকাট্টা মরু চমকায় উটের গরলে

মিশি কার জলে!

পরদেশ

ফোসকা দাগ কথাগুলো রাখি
মুখ আনি গলন মায়ায়।

ক্যামেরা পায় না।

যা ছিল তা নিয়েই হা-হুতাশ
মুখব্যাদান ফ্ল্যাশ দেখে দেশ।

এই আমি দোকলায় দোতারা ফুরোই
পলতে পাওয়া নিয়ে ক্লীশে হয় ক্রেস।

নীল নীল অন্ধকারে সমুদ্র ওড়না
পরতে পরতে ভেজে পরদেশ।

তিলেক ফোঁটায়

একটা দাঁড়ি
তোমার নিজেরই
তিলেক ফোঁটায় নিবিড় দেখায় থামা।
তুমি থামতে পারো না।
দীপ্ততায় জ্বলে ওঠো
ভস্ম হও।
ভর মাপা অভিবাদন
ডানায় আকাশ পায়;
বোধের সাম্য বিরতি দেয় ঝোঁকা।
টাল খাওয়া থেকে ধোঁকা।
শূন্য ছুঁয়ে থাকা ওলনকাঁটা
বুকজলে চৈ চৈ সারাবেলা
নির্মিতি দিলে
নিখুঁত একটা দাঁড়ি
তোমাকে মানায় না তিলেক ফোঁটায় —

দোসরতায়

দোসর দোসর ভাবি সব ঘর।
যাই; যদি দোসর খুঁজে পাই।

ডানা একটা থাকেই একলার।

নুন নুন ছেলেমানুষি পাঁজর জড়ায়।
ভয় হয় ।

দোসরতা পেলে
গগন মুখ পায়

উজলায় আঁখি ফোটে —

মুরারি ধারা

তোর জন্য খুব কষ্ট হয় শ্যাম।
কোথায় থাকিস? কী করিস এখন?

বড় কানে বাজে ডিজে।বাঁশি ছেড়ে দিয়েছিস —
পরাণের রীতিনীতিগুলো বদলে বদলে রই।

বলি, হৃদয়েই নাকি তোর বাস;
বাঁশি বাজে কই!
লোকে খুব নেয় বুঝি ডিজে
তবে এত অবনমন মই!
উন্নয়ন কিছু নেই নয়, আছে;
অনুন্নয়ন সূতোলি তুলে তুলে বিক্ষেপে প্রক্ষেপে
দুটোতেই যদি তুই — একটু স্পষ্ট করে বল;
এত যে মরণ ডালে নাচি ; নেচে নেচে ত্রিভঙ্গ
মুরারি ধারা বই ; বুঝিয়ে বলিস না কেন ?
ধারাপাতে শ্রাবণধারা কই —

তোমাকে মুছে ফেলতে

অলিখিত, যুক্তি পরম্পরা; কাকতালীয়।
তবু আরশি রাখো শ্রবণা পর্শুকায়।
দৃষ্টি ঘুরিয়ে নাও নিতলে।
দেখবে ষড়যন্ত্র —
সর্বত্রই তার হলুদ রঙা কথা।
তার চোখ কান মুখ ভ্রূ-কুঞ্চন
তত স্পষ্ট নয়। তবে কথা বলে আরাম পাচ্ছো না। তিষ্ঠতে পাচ্ছো না।
বলবে যে –, আবার এসো কিন্তু —,
আকাশ গগন পায় কবে, দেখি —
বলতে পাচ্ছো না।
তোমার সৌম্য ভাবটা আর সৌম্য থাকছে না।
বাজা থেমে গেছে । অথচ বাইরে সমারোহ।
যেন তোমাকে মুছে ফেলার পিরিতি ধায় ধায় মহোৎসব
তোমাকে অতিষ্ঠ দেখতে ধেয়ে আসছে অতিষ্ঠরা সব।

মতি

রোদ্দুর লাগছে গায়ে। আবারও রোদ্দুর —
সেই কবে পরশ লাগিয়ে সরে পড়া।
আভাসে ইঙ্গিতেও অশিষ্ট।
তখন রোম ওঠা, পায়ে পায়ে ক্ষুর।
ফোটন ফোটন নেবার গ্রাহ্যতা ছিল তখন।
আরো আরো ফোটন নেবার তীব্র আকুতি।
তারপর হঠাৎই বেমক্কা। ডুমুরের ফুল।
কত খুঁজেছি! আর আজ আবারও রোদ্দুর —
রোদ্দুর লাগছে গায়ে; যখন ক্লোরোফিলে আগুন।
তেজ মেখে নেবার মতো তেজ নেই আর।
নিজস্ব নির্মাণেও নেই মতি।
বলি, এ তুমি কেমন রসিক?
নখে দু-খান করার কালে কত ডেকেছি —
আজ, আমন্ত্রণ ফেরানোই মেতে উঠি —।

খবর

খবর পেয়েছি একটা।
ডগা ছেঁটে ছেঁটে
স্টেপকাট চুল কালি করে আর কালি ধুয়ে
খরচ — মাত্র বারো হাজার টাকা।

ছোট্ট একটা পরিবারের গোটামাস স্বাচ্ছন্দ্যবিহার!
গলে যায় মুহূর্তের অণ্বেষায়।

কত চাঁদ ধরা যায়?

চুলে বিলি কেটে কেটে
চোখে ঘুম এনে দিলে —

সভ্যতা চমৎকৃত হয় ?

রোজ

কাঁচে চোখ রাখা কারুর ইশারায় চোখ আঁকি রোজ।
চোখ আঁকাগুলি ফুটে ওঠে জানলায়।

ইশারাগুলি ফুড়ুৎ এদিক ওদিক
আকাশ ঝাঁপায়।

ভাবি, এ-সময় একটু নাচ হলে মন্দ কী?
কত্থক কি কুচিপুরী —

ও বা-বা -!

আলো নিবতেই হামলে পড়ে বাঘ!
হৃৎপিণ্ড উপড়ে আনতে চায়।

বলি, এতো যে জীবন গড়ায়
সিঁড়ি সিঁড়ি জলছাপ পাই

চমকায় কেন বাঘ ?

স্বচ্ছতোয়া কাঁচে রাখা চোখ খান খান হয়ে যায় —

নৌকোয়

ভেসে যাও।

কিছুদিন শেকড় ছাড়ালে না, না হয় —
নৌকোয় থাকো।

নৌকোর গলুইয়ের জলে
নীল গুলে রেখেছে আকাশ

চোখ রাখো।
ঘাটে ঘাটে তরী ছুঁয়ে যাও।

এর কালো ওর আলো
উঠে আসে আসুক কৌতুকে

গান বেঁধে নাও।

উধাও

ইচ্ছেরা এখন দলবদ্ধ থাকে না আর
ডানামুড়ে একা একা ঘোরে।

পোষা পায়রার বকম বকম রঙ তার!

বাঁচোর দলের মতো
শান্তির খোঁজে চঞ্চল, স্বেচ্ছাচার ও বটে;
বহুরূপ তার।

একা ইচ্ছে বহুত্ব পায় স্বজন পোষণে
বহুত্ব কি একত্ব হবে গৃধ্নু নিধনে ?

আলো নিবে যায়!

ইচ্ছেখুশি ফাগের আওয়াজ পা নাচায় ।
বাঁচতে চাওয়ার ভাবখানা আজ দেশ থেকে উধাও !
ইচ্ছের ভিতর থেকে উধাও —

বলাই হয় না

অন্তর পাগলের কথা বলাই হয় না।
বলা হয় না, তার প্রদর্শন প্রক্রিয়া শার্সি ভাঙা।

এর মুখে আলো ছুঁড়ে ওর মুখে আঁধার;
শেকড় সন্ধান, নৌকো বাওয়া,

বলাই হয় না।

সুরে সুরে জলের বাহার
ঘুরে ঘুরে উন্মেষ পায়;
ভিতর পানে খুলে যায় তালা।

“আনন্দধারা বহিছে ভুবনে” বলাই হয় না।

ঘাটে ঘাটে নাচনীওয়ালী
ঘাটে ঘাটে নাচনে ওয়ালা
ঘুম কেড়ে নেয়।

জোনাক প্রতিভাস আলোয়
দূর দূর জ্যোৎস্নাক্ষত প্রলম্বিত আঁখি খুলে দেয়:

বলাই হয় না।

মেঘ ঘোলা জলচৈ হাঁস চিকনরোদ্দুর ছড়ায়
জলে জলে ভরসা সাঁতার ডাকে —,
আয় — আয় — আয়—

বলাই হয় না।

অন্তর পাগল শুধু ঘন চমকায়।

ঝড়

সব ধ্বংস, সব নিপাত যাওয়া থেকে
চোখ উঠিয়ে নিই ভাবি।
ভাবি, বীজ বুনে দিই সবুজের।

শেকড় সঞ্চালন করি;
খরা কেটে যাবে।

এ পর্যন্ত মেলে না বাস্তবে।

ভাবনাগুলো বোধনের জলে স্নানে গেলে
কৌটো খুলে রঙ গুলে যায়।
আর মজা নেয়। দেদার মজা ছুঁড়ে দেয় চোখের ঈশানে।

গলে যায় চাঁদ।

নিজেদের উৎকৃষ্ট যাপন অন্যদের অগম্য অগোচর হলে
গোধন চরানো রীতিপ্রথাগুলো বাঁশিই ফেলে যায় জলে।

ধেনুদের পায়ে পায়ে ওঠে ধূলোঝড় —।

জলের গ্রাস

তোমার কথাই বলবো ভাবি;

জলের গ্রাসে ফ্যারিংস ফুস!

বলবো বলে ভোর কুয়াশায় বেরিয়ে পড়ি
সকাল সকাল পাঠ মনস্ক:

একার গলায় ভরসা রাখি না।
পৃথক দশটা ভরসা ঢিল সঙ্গে রাখি।

ঈশারা যে দিকেই ফুটুক সূত্রধরের পাপড়ি খুঁজি।

মঞ্চে উঠে আলটপকা অন্য ধ্বনি।
জলের কব্জা, যে ধর্মটা আগুন নেভার;
চটকে চুল; অভিমানী —

মেঘলা আকাশ আতস আলোয় হীরক যাচে।

গড়িয়ে চলা জলের মোহ জলকে গ্রাসে —

ভাষ্যপাঠ

কেন নতুল ধরো বারবার?
মুখে তুলে আনো —

যেখানের যা সেটা সেখানেই বাঞ্ছনীয়।

অস্থানে কুস্থানে তার প্রয়োগ
সম্রাজ্ঞীর মতো
তাকে আবাহনে রাখো।

তাই বলে উর্বর দোঁয়াশমৃত্তিকা সংলাপে কাঁকর!

অনুর্বর হত্যালীলায় মাতে।

ভাষ্য পাঠে পাঠে
নতুলের পারম্পর্যক্রম সাঁকো ভেঙে রাখে।

তুলি ভেজে

অস্ত্রের ঝনঝনাৎ থামাতে অস্ত্রেরা ঝনঝনাৎ শুরু করে।
অস্ত্রের মুহূর্ত মুখ দলগড়াগুলি থেকে অব্যাহতি পায়।

ভেঙে পড়া উদ্যোগের পাশ বালিশে
মায়া যেটুকু ফোটে; শোভা যেটুকু মুখর দাঁড়ায়
তার দ্বন্দ্ব মুখরতায় রঙতুলি ভেজে।

জানলায় এসে থমকায় চাঁদ।

রাজনীতি এড়ায়।

তবু, হাইধরা লোকের পাল্টা ধাক্কায় চাঁদ ফালি হয়
অস্ত্রেরা তোপ দেগে ফেরে; ঝিম মারে কৃতকৌশল।

প্রযুক্তি প্রয়োগ আয়ত্তাধীন দো-দুটো অমাবস্যার বরফে
অস্ত্রেরা নেমে পড়ে। চিক ভাঙে আয়নার।

রোদ্দুর চমকে ওঠে।

নির্বিষ নিলাজ প্রতিকৃতি পুড়ে যায় ওষ্ঠপুটে
তুলি ভিজতে থাকে চোখের জানলায়।

চিতা

জাঙ্গিয়া বেমালুম হাঁটছে রাস্তায়
ব্রেসিয়ার দিল খোলা।

রূপোচাঁদ গলিয়ে ফেলছে
যে যার পালক
শৈশব ছড়িয়ে ফেলছে ডানা।

ক্রমে সেজে উঠছে চিতা
মৃত্যু পরোয়ানা।

মৃত্যুর পাঠ ভাঙা শোভা
শ্লীল অশ্লীল তোয়াক্কা করে না।

সজ্ঞান সজ্জন যারা ভ্রূক্ষেপ বিহীন
পবিত্র আগুন নেবে গুছিয়ে প্রণাম

চিতা ক্রমে সেজে উঠছে মেধায় – – –

অভিমন্যু চাঁদ

আমার হাতের উপর এসে স্থিতি পাক তোমার হাত।
নইলে সমস্ত খুন মেখে রাঙা হয়ে উঠবে চৌকাঠ

আরো আরো হাত এসে সমুদ্রে মিশে যাক।

স্তবহীন জলের কল্লোল তার ভিতরে জীব ছেঁড়া
উল্লাস শুধু ঘূর্ণি নাচায়

এমনই বজ্জাত হাত!
চেটো ছেঁদা করে বেয়োনেট সূর্যকরোজ্জল

লাল নীল হলুদ মেরুন কোনো হাতের ভার
সহ্য হচ্ছে না আর, পাশে থাক – – -অসহ্য! অসহ্য!

মুহূর্তে বিনিময় রাত।

তার অয়েল ক্লথের উপর গড়াচ্ছে যে পৃথিবী:
সেও দেখি মুতে থৈ থৈ

আড়াআড়ি ভাগ হয়ে পড়ে আছে অভিমন্যু চাঁদ —

খেচর

মানুষের রোদ প্রখর তীক্ষ্ণ শিখা আগুন
পাড়ন ইটে লেগে গেছে যতো

স্বধর্মে স্থিত মৃত্তিকাবরণ
ফুল ছুঁয়েছে ততবার।

ততই উড়ুক্কু চিতল ইচ্ছে

আমার ভিতরে এসে
আঁশ ধোয়

হয়ে ওঠে খেচর।

নুন

একা একা হাঁটি আর মনে মনে কথা কই
ক্ষতগুলো বাড়ে কমে, হর্ষগুলো আনন্দ বিলোয়

রোদ্দুর কৌশল নিই; গাঢ়তর মেঘগুলো ছুঁই
অশ্রুপাতে শ্রাবণ যদি পাই আঁধার কলসগুলো ধুই

রান্না চাপাই —

বহু ক্লেশে নিঢাল উপোস বহুদিন
হাঁড়িগুলো তাত পেয়ে যদি স্বীকার করে ঋণ

ভাত বেড়ে তোমাকে শুধোই
কষ্টগুলো নুন ভেবে পাতে তুলে নিন।

জন্মদিনে

আকাশে আমিষ চাঁদ,
জন্মদিনের শুভেচ্ছায় পাতে ফাঁদ।

তাই, শোক ও সন্তাপ
ভাত বেড়ে খায়;

শিয়রে প্রদীপ জ্বেলে রাখে।

সেই আলোয় চরণান্তিক আঁখি
অকারণ করোটিস্নানে জেগে থাকে।

বৃথা চাঁদ
জ্বলে পুড়ে যায় —।

স্বপ্নের ঘোরে

অবয়বে নৈবেদ্যহীন — দিন;
তবু চোখে চোখে ঝারিজল ঢেকে রাখি।

কোলফাঁকা নিঃসঙ্গ মানুষটি তোমায় একবার দেখে আসি।

সেখানে হৃদয় ধুয়ে খরতাপে রোদ্দুর হয়ে শোব
জলে ভেসে রাঙাছাই ভিতরে সারাংশ রেখেছে কালো

তাই প্রতিমার কাছে প্রান্তর বিদগ্ধ জনের মন্দির।

তারই পাশে গাত্রোত্থান দাহ করার মন্ত্র
এখানে স্বপ্নের ঘোরে ভোর হয় প্রত্যক্ষ বিপদও।

রোপণ

বুক ভ’রে আছে মাটি
শুধু বীজেরই যা রোপণ ছিল বাকী,

নতুবা অঙ্কুর অবধি
পরাগের নিমগ্নটান ছিঁড়ে
ঐ দূর নীলের স্বয়ম্বর দেখে নিতো।

কোথায় গৃহস্থ জেগে আছো?

কোথায় গৃহস্থ শেষ হাসিটি হেসে
পোড়ামুখ নদীতে ডুবিয়ে রাখো —

সৎকার

স্নেহ পীড়িত টানের বৈভবে
তোমায় ডেকে উঠলাম
আর বহ্ন্যুসব আমার শেকড়ে বাকড়ে —‘

নিঃস্পৃহ পাথরে জল আপ্ত অভিমানে
ঘুম থেকে জেগে ওঠে,

শেকড়ের একাগ্র ধ্যানে;

আর আপ্লুত দর্শনে
নিষাদের পানপাতা মুখ তার বিমূঢ় চিৎকার

কামনার রঙে পুড়ে গেলে একটা দেহের সৎকার।

দুই শূন্যে

দুই শূন্যে উড়ে যায় দূরেও যায় তুলো
মনে পড়ে তারতম্য কিরণ মুখগুলো।

পাদপীঠে লোভ, মোহ আর ধুলো।

ভুলগুলো পৃথক করে নেওয়া
আকাশে নীলিম মেঘ আষ্টেপৃষ্ঠে ধোয়া।

দুই শূন্যে উড়ে যায় দূরেও যায় তুলো
আত্মপ্রকাশের মতো দারুণ দেবতা

হৃদিশীর্ষে লুটোচ্ছে মোহ।

বোধ

গাছ আছে। গভীরে শেকড়।
ক্রোধে ঠেকে মূলত্র জড়ায় বোধ।

বোধেরও কি নিজস্ব কোনো জাতিভেদ আছে?

নিভন্ত ঈশ্বর রাত্রি রাত্রি খেলে

মন্দিরের পাশে।

অগ্নির গণ্ডূষে নদীও স্থির

চিৎসাঁতারে ভাসে।

গাছের ভিতরে জল হিংসা বিছিয়ে বাড়ে।

মানুষের পুজো পেয়ে গভীরে নদীর বুক
পাথরে শ্লেষ্মা মাখে।

গাছ আছে। গভীরে শেকড়।
ক্রোধে ঠেকে মূলত্র জড়ায় বোধ।

স্বপন নাথ | Swapan Nath

Appearance of Jagannath and Patitapawan Srivigraha | 2023

Role of parents in raising children | Bengali Article 2023

Shramik Divas 2023 | International Labour Day | পুনম মায়মুনী

32 Beshas of Jagannath Mahaprabhu | পুরীর জগন্নাথ মহাপ্রভুর বত্রিশ প্রকার সাজ-শৃঙ্গার

Shabdodweep Web Magazine | Theme in Bengali Poetry | Swapan Nath

Bengali poetry is a treasure trove of emotions, culture, and history. Through the verses of its poets, we discover not just a rich literary tradition but also the depth of human experiences. The theme in Bengali poetry often reflects both the personal and the societal, resonating with universal truths and distinctive cultural nuances. This article delves deep into the themes of Bengali poetry, explores how it shapes Bengali literature, and presents the literary contributions of poets, including Swapan Nath, who writes extensively for Shabdodweep Web Magazine.

What Is the Theme in Bengali Poetry?

The theme in Bengali poetry is an integral part of the Bengali literary tradition. Themes in Bengali poetry are as diverse as the Bengali culture itself. Some of the common themes explored include love, nature, spirituality, and the human condition. From the romantic poetry of Kazi Nazrul Islam to the profound existential reflections of Rabindranath Tagore, Bengali poetry spans a wide range of emotional expressions.

Bengali Literature has always been intertwined with the themes of social and political change. Poets have used their words as tools to inspire and challenge the societal norms, often bringing attention to the struggles of the common people. Themes such as patriotism, nationalism, and social justice are frequently reflected in Bengali poetry. These poems go beyond mere words—they capture the very essence of Bengali life, its joys, sorrows, and hopes.

Evolution of Themes in Bengali Poetry

Bengali poetry has evolved over the centuries, with each phase contributing a unique set of ideas.

The Classical Era: Early Bengali poetry often revolved around themes of devotion and religious reverence. Poets like Chandidas and Meghnad explored themes of love for the divine, the longing for spiritual union, and the human search for inner peace.

The Modern Era: With the advent of modernism in the 19th and 20th centuries, Bengali poets like Rabindranath Tagore introduced new themes, reflecting the emerging ideas of nationalism, personal freedom, and social reform. Tagore’s poems often explored themes of universal love, spirituality, and the connection between man and nature. His works continue to inspire generations of readers.

The Post-Independence Era: The post-independence era saw a shift towards more politically charged themes. Poets like Kazi Nazrul Islam brought a fiery tone to their poetry, focusing on revolution, freedom, and the struggles of the marginalized. Nazrul’s theme of rebellion against oppression continues to echo in contemporary Bengali poetry.

Contemporary Bengali Poetry: Today, Bengali poetry embraces a variety of themes, including modern-day concerns such as identity, gender, technology, and the complexities of urban life. Poets like Swapan Nath, whose works are featured on Shabdodweep Web Magazine, offer a fresh perspective on these themes, exploring the intersections of tradition and modernity.

Themes in Bengali Poetry That Shaped Its Legacy

1. Nature’s Beauty
   Nature has always been a significant theme in Bengali literature. From the rural landscapes to the serene rivers and hills, nature plays an important role in Bengali poetry. Poets often use nature as a metaphor to convey deeper meanings about life, emotions, and spiritual truths. Rabindranath Tagore’s works, for instance, are filled with lyrical descriptions of nature, symbolizing the harmony between man and the natural world.
   
2. Love and Romance
   Love, in all its forms, is one of the most prominent themes in Bengali poetry. From romantic love to divine love, Bengali poets have explored the myriad expressions of affection. Tagore’s Gitanjali, for example, reflects a love that transcends human understanding, intertwining the spiritual and earthly realms.
   
3. Patriotism and Nationalism
   The themes of patriotism and nationalism have been deeply embedded in Bengali poetry, particularly during the colonial period. Poets like Kazi Nazrul Islam and Michael Madhusudan Dutt wrote poems that encouraged resistance against British colonial rule. Nazrul’s poems, in particular, became a rallying cry for liberation and social equality.
   
4. Societal Change and Justice
   Many poets used their works to advocate for social reform, addressing issues like caste, class, and inequality. Poets such as Jibanananda Das and Sukanta Bhattacharya highlighted the struggles of the common people, urging for justice and change. These themes remain relevant in contemporary poetry.
   
5. The Mystical and Spiritual
   Spirituality and mysticism are deeply rooted in Bengali poetry, with many poets using their verses to explore divine love, transcendence, and the search for truth. Lalan Fakir, a mystic poet, is a prime example, with his poetry focusing on the inward journey to understand God.

The Role of Poets in Shaping Bengali Poetry

The theme in Bengali poetry cannot be fully understood without acknowledging the role of its poets. Poets are the torchbearers of Bengali literature, shaping not only the language but also the cultural identity of Bengal.

Swapan Nath, a writer and contributor to Shabdodweep Web Magazine, is one such poet who has brought modern themes to the forefront. His poetry often reflects the struggles of the common man, the human psyche, and the complex relationships in contemporary society. Swapan Nath’s works delve into themes of love, identity, and social reform, engaging readers with both their emotional depth and intellectual resonance.

Shabdodweep Web Magazine is a platform where readers can explore these themes further, as it regularly publishes thought-provoking poems and stories from emerging poets like Swapan Nath. The magazine plays a crucial role in keeping Bengali poetry alive, offering a space for contemporary poets to express their unique perspectives.

FAQ: Theme in Bengali Poetry

What are the common themes explored in Bengali poetry?
Common themes in Bengali poetry include love, nature, spirituality, patriotism, and societal change. Poets often explore both personal and political subjects, reflecting the rich cultural history of Bengal.

How does Swapan Nath contribute to Bengali poetry?
Swapan Nath, a writer for Shabdodweep Web Magazine, focuses on contemporary themes such as identity, love, and social justice in his poetry. His works offer a modern perspective on the traditional themes of Bengali poetry.

Why is nature such a significant theme in Bengali poetry?
Nature has always played an essential role in Bengali poetry, symbolizing beauty, harmony, and spirituality. Many poets, including Rabindranath Tagore, use nature to convey deeper philosophical meanings about life and existence.

Where can I read more Bengali poetry?
Shabdodweep Web Magazine is a great resource for contemporary Bengali poetry. The magazine regularly publishes poems from poet like Swapan Nath, along with emerging voices in Bengali literature.

How has Bengali poetry evolved over the years?
Bengali poetry has evolved from classical devotional themes to modern reflections on social, political, and personal issues. Contemporary poets continue to address themes of identity, technology, and change, while preserving the traditional spirit of Bengali poetry.

Conclusion

The theme in Bengali poetry offers a profound look at the complexities of human existence, history, and culture. It is a medium through which Bengali poets express their deepest emotions, thoughts, and reflections on the world. From early devotional verses to modern explorations of identity and society, Bengali poetry has continuously evolved, keeping pace with the changing times.

If you’re interested in exploring more about the themes in Bengali poetry, Shabdodweep Web Magazine is the perfect place to start. With contributions from poets like Swapan Nath, the magazine offers an in-depth exploration of contemporary themes while preserving the rich legacy of Bengali literature.

---

Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio