Poetry of Shishir Azam
Bangla Kobita Shayari Pattern | Bengali Poetry Status For All
১০০% পিওর কবিতা
সে চেয়েছে এমন কবিতা লিখতে
যা ১০০% পিওর আর অর্গ্যানিক
কিন্তু যা কবিতা
তা ১০০% পিওর কী করে হবে
অর্গ্যানিক
১০০%
৫০%
২০%
যা অন্তত কবিতা
একজন বেশ্যাকে কীভাবে আমরা কুমারী ভাবতে পারি
বা জয়নুলের তুলি
কীভাবে তা স্টুডিওর উষ্ণতায়
খুশি থাকবে
মাসির মেয়েরা
বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল
আর মাথায় এলো এপথে আমি নতুন
রাস্তায় পুরুষ মানুষ ছিল
পুলিশ ছিল কুকুর ছিল
অন্য কোন জন্তুজানোয়ার তো ছিল না
রাস্তার পাশে রং ঘষে দেওয়া পুরনো কালের বাড়িটার সামনে
আবছা আলোয় সারি সারি দাঁড়ানো
অনেকগুলো মেয়ে দেখলাম
স্বল্প পোশাক
প্রত্যেকের ঠোঁটের রং একই
একই চোখ
একই হাসি
ভেতরে কে যেন চেঁচিয়ে মাসিকে ডাকলো
মাসি
ওদের তো মা নেই
মাদারি
দেখুন এখন আমি যা পড়ছি
তা
যদি আপনারা মনে করেন
কবিতা
তবে তা কবিতা
কবিতা ছাড়া কিচ্ছু না
কিন্তু
দিব্যি করে বলছি আমি কবি নই
আমি মাদারি
আমি দেখছি আমার রক্তের খেলা
দুষিত রক্ত
কয়েদির রক্ত
মুঘল হারেম থেকে পালানো দাসীকন্যার রক্ত
মিলিয়ে নিন আপনারা
মিলিয়ে নিন আপন আপন রক্তের সঙ্গে
রক্তে
দূষণ কারো নেই তো
কুমারী মা
সেই দুপুরে
সে জোর করেছিল আমার ওপর
না কি আমি নিজেই
জলডিঙিটির দিকে তারাভারাতুর আঁধারসেতু
কৈশরের শিরদাঁড়ার নিচে তার হারানো ঘুড়ি
লাল সুতো
স্টেশনের অন্ধ বাঁশিওয়ালা
পুঁইয়ের ডগায় ফড়িঙের অন্ধকার স্বাদ
মেয়েদের নিজেদের আছে ক্যাকটাস
চেয়েছি অনুভব করতে তার অসুস্থ তর্জনীর বাক্য-বিন্যাস
তার আত্মজীবনী লেখা ট্রেন
আমার অশোধিত গ্রন্থাগারে
কারা যেন শব-বিরোধীতার চৌবাচ্চায় পুলিশকে আপন করে পেয়েছে
এদিকে আমার এই স্মৃতি-ক্ষুরধার নদী এই দ্বীপ
কালো নোঙরের গরল-গান্ধার
জল চাই চল চাই নির্বোধ সন্ত্রাস
শেষ পর্যন্ত জানলাম রক্ত ছাড়া কেউ সন্তুষ্ট হয় না
আমি নিরুপায় শুষে নিই বিষাক্ত ফুলের রক্ত
যা এখন গোলাকার পিন্ডরূপ
আমার দেহে
একটু ঘুমোতে পারছিনে পুতুল নাচের ইতিকথায়
কোথায় পালাবো আমাকে মরতে হবে
কিন্তু এই পাপটুকু বাদে
জীবনে কি বা পেয়েছি
ফ্লোরে তোমার কাপড়চোপড়
ফ্লোরে তোমার কাপড়চোপড় পইড়া আছে
ওগুলা
জিদ কোর্তেছে উৎসব না অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া না বুইঝাই
উড়বার চায়
কিন্তু উড়তেছে না
তুমি
ওগুলার দিকে অসহায়ভাবে তাকাইয়া রইছো
বিছানায়
আমি তোমারে দেখতেছি
আর ফ্লোরে
তোমার কাপড়চোপড়গুলারে
দেখতেছি কার জেদীপনা বেশি
আর
ডিপ
অর্গ্যানিক ভায়োলেন্স
সবিতা
সবিতা চৌধুরীকে আমি চিনতাম
সবিতা মানে সবিতা যাকে তোমরা ভাল গাইয়ে হিসেবে জানো
মিউজিক আর পলিটিক্স তো আলাদা তো কখনও না কখনও
কোথাও না কোথাও
এরা
ইতিহাস পরস্পরাকে ভ্রূকুটি দেখিয়ে নিজেদের দিকে এমন দ্বিধাহীনভাবে
ঝুঁকে পড়ে কেন
এই প্রশ্নে বিভাসিত হয়ে
আমি যে সুমোহন অনিশ্চয়তায় আছড়ে পড়ি তার নাম সলিল
সলিল চৌধুরী
পরবর্তীতে সে আমার বন্ধু হয়ে যায়
হ্যাঁ সবিতাও আমার বন্ধু
সবিতা আর ওর জৈবরাসায়নিক সমুদ্রশৈলের হলুদ গাঁদাফুল
ওর আকাশের কাঁটাঝোপ
ওর আগ্নেয়গিরির ডার্ক কম্পোজিশান
আচ্ছা সলিল কি সবিতাকে চিনতেন
চেনেন
এই প্রশ্ন নিজেকে করি
এই প্রশ্ন সলিলকে করা কি ঠিক হবে
কবিদের আত্মহত্যা করবার অধিকার আছে
তো বুনোগোলাপ! বুনোগোলাপ! দিনভর কাঁটা বাছাবাছির পর
শেকড়বাকড়হীন রাস্তাগুলোর ক্লান্তি মরমিয়া বোধ সরিয়ে
ভাবলাম মাছি মারা যাক
তো মাছি মারা যে কি ঝক্কির কাজ আমাদের কোয়ান্টাম মেকানিক্সে বলা নেই
তো মাছি তো আন্দালুসিয়ান কোরিয়োগ্রাফি যা লুই বুনুয়েলের ধরতাইয়ে পড়েনি
গরুগুলো ঘোড়ার মতো লাফাচ্ছে কর্পোরেটের গরু না খাঁটি দেশী গরু
চাঁদে ঢুস মারছে
তো কপাল ঘসে দেখি ঘাম নেই
বাগানের সুপাররিয়ালিস্ট ঘোড়াগুলো আদৌ কি জানতাম যে ওরা
দালির সন্দেহবাতিক ঘড়ির কাঁটায় আত্মাহুতি দেবে
না কি ওরা ফিদা হুসেনের ঘোড়াদেরই এক্সপেরিমেন্টাল প্যারাডক্স
তো বানিয়েছি সবজিক্ষেত তো যৌন পরমাণু ঝুঁকি কম
হাবা শুয়োরগুলোকে না জানিয়ে বাড়ির সামনেটা ঘিরেছি উঠোনে শুয়োরের রক্ত
তো শীতের সূর্যের পতনশীলতায় শ্বাস নেয়া যায় গোয়ালার কালো মেয়ের পাশে শুয়ে
তো বৌ কোথায় রাখবো মেয়ে কোথায় রাখবো
আমার গোখরো কবিতার আমার পাটলিপুত্রের তো টাকা নেই যে শান্তিনিকেতন বানাবে
তো অবসরপ্রাপ্ত হবার পর যে কোন লোকেরই জ্ঞানগম্যি বাড়ে
তো বলবো কি দ্বিগুণ হয়ে যায় তো প্রমাণ করে দিতে পারি
তো সমস্যা হলো অবসর নেবার পর
তোমার হাতে কোন বাটখারা থাকবে না
তুমি শূন্য মানে শূন্যতা কিন্তু ভয়ংকর মানে প্রলেতারিয়েত যেমন হয় আর কি
এই দেখুন আমাদের কবিতা বীজপত্রী উদ্ভিদ
এই দেখুন আমাদের গর্ভধারিণীর রামপ্রসাদী সংসার বিলাস
তো হাসবো না এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম গত সন্ধেয় চাড়ালকে জিগ্যেস করুন
হাসবো না তো হাসির চোটে পেট ফেটে এখন দম বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়
তো জানতাম না ভ্যান গঘ তার কাটা কান নিয়ে ক্যাফের টেবিলে
আমার জন্যই অপেক্ষা করছেন
সকালবেলার নৌকোর রংধনুর নৈতিক স্থাপত্যশৈলীতে তখন
জীবাণু জীবাণু জীবাণু জীবাণু
জামরুলরক্ত সুইংসুইম
নিজের জরাজীর্ণ সরল ফুসফুসে হাত রেখে দেয়ালটা কোন্ দিকে তাকিয়ে রয়েছে
সেদিনকার সাঁতার না জানা এই জিনেটিক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দেয়াল
মহাদেশের বিশার চাদরে প্রয়োজনীয় নাড়িভুড়ির আস্তাবলে?
আমাদের এই সমতল ভূমিতে গাধা পাওয়া যায় না তাই ঘোড়াদেরই গাধা সাজতে হয়
ঘোড়ার পেটে ঘোড়া গাধার পেটে গাধা এই হয় শুনেছি
কিন্তু ঘোড়া আর গাধা –এর জিনসমন্বয়কারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
না কি বিষয়টা কেবল ডায়াসপোরিক প্যারাডক্স
হাত কাঁপে না বলে শিশু পুরো বৃত্তটাই এঁকে ফ্যালে, বৃত্তটা তার বাগান,
আমাদের জিনেটিক ম্যাটেরিয়াল।
যুদ্ধটা চার্চিল থামাতে পারেন কিন্তু কেন থামাবেন?
গণেশ পাইন চাঁদ ভালবাসেন কিন্তু আঁকবেন কালো চাঁদ।
আসলে আত্মানুসন্ধানে মানুষের একেবারেই অরুচি আর আতঙ্ক
অথচ অন্যান্য সব প্রাণী এমনকি বস্তু সম্পর্কে মানুষ প্রায় সমস্তটাই জানে
তোমার তো বৃষ্টিতে ঘুন্নি লেগে যায়, সব গুলিয়ে যায়, পরে ভোগান্তি।
ভোগান্তি মানে ভোগান্তি — যেহেতু নিজেকে তুমি সৎ বুর্জেয়া হিসেবে বিবেচনা করো
আর মিশ্র কম্যুনিস্ট
এখন ব্রহ্মচারীদের ব্যবহৃত এই টেবিলগুলোকে নিয়ে কি করা যায়
নোঙর করা সব টেবিল — স্বেচ্ছা মৃত্যু নেশাতুর?
সঞ্চিত ব্যাথা ভুলে এরা তো সব মাংসের ঝাঁজে পাগল
আর জানালার এই পেট্রোলিয়াম কোম্পানির রাক্ষুসে পর্দাগুলো
নীলগাইয়ের বাস্তুপথে এঁকেছে ক্রুশ।
কোন আঁচড় রয়েছে থাকবে দেয়ালে জামরুলরক্ত সুইংসুইম
আর আইচক্রিম ঘসে দেয়া অনুতাপ
যা হারিয়ে যায় হারিয়ে যায় পারে না রান্নাঘরের টেরাকোটায়।
লেখক হতে চাওয়ার বিপদ
লেখক হবার জন্য আসলে কোন টেবিল দরকার হয় না
গাদা গাদা বইই বা কেন গিলতে হবে
ব্লাক ওয়াইন আর বৃষ্টিধোয়া আকাশ
অথবা
আনকোরা আর বোকাসোকা ইয়াং একটা মেয়ে
অথবা
এক শনিবার জোসনায় ভাসতে থাকা পাহাড়
তাহলে কী দরকার
আমি তোমার কমনীয় আর ঘামচিকচিকে ঘাড়ের নিচে
ঘাড়ের ঠিক নিচে
কামড়ে দেবো
নিঃসঙ্কোচে
কামড়ে ধরে রাখবো
যতক্ষণ না তোমার রক্ত আমার রক্তের দেখা পায়
মরচে পড়া ব্লেড
আমি দেখতে পাচ্ছি
তোমার জমাট অশ্রুতে বর্মহীন ইস্পাতের মসৃণতা
ওরা এরকমই হয়
যে ভাষায় ওরা কথা বলে ভাবে যে সেটাই ওদের ভাষা
কাকেই বা দোষ দেবো
তুমি তো নিজেই দেখছো ভাল একটা কুকুরকে দিনের পর দিন
আমি আদর দিয়ে যাচ্ছি
কারা শোনে ব্যাঙের ডাক
রাতের স্টেশনের খাদ্য হওয়াটাই নিয়তি
যারা বাঁচতে চায় তারা তোমার বাড়ি চেনে না
তবু রেহায় করো মরতে ইচ্ছুকদের
বলা যায় বাতাসের ঐ রাস্তা অসমাপ্ত
নির্যাস
ঘুঘু ঘু
এই সাতসকালে আমাকে ভেংচি কাটলি দায়বোধহীন কচি সূর্য
গাছে নেই কাছে আছে ঘুঘু
আর আজ আমার ১০০% বুর্জোয়াপ্রতিম হৎপিন্ডের অবস্থান নিয়ে
রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি পাখিবাজারের ভাসমান দুপুরবেলায়
গতকালকের পিপিলিকাগোত্র আর তাদের টেরাকেটা দ্বীপ
আজ হঠাৎ হুলুস্থুল বাঁধিয়ে বসলো রোমান্টিক মায়েদের আত্মজীবনীতে
কেন আমরা কি জানতাম না এই অন্ধকার এই প্রসাধনহীন অন্ধকার
কি প্রাদাহিক কি টেলিপ্যাথিক
আমাদের ঘুঘুপাখি ছিল ঘুঘুপাখি মারা গিয়েছিল
হারিয়ে গিয়েছিল
আমরা তাকে দেখি তার গানের কুয়াশা উঁকি মারছে
আমাদের বরফ ও পৃথিবীর অন্ধকার ফাটলগুলো থেকে
তুমি তো জানো পাঁচিলের গল্প পাঁচিলের ভার আর রুগ্ন উপনিবেশোত্তর পাঁচিল
মেঘেরা পুরুষদের বাঁধা দেয় না
প্রাচীন গুহা আরও গভীর হয়ে ওঠে আর রক্তমাখা ঘাস
আর পেশাবের চাপে দেবদূতদের নুনু ছিঁড়ে যাবার যোগাড়
কাঁচের দেয়ালে বড় জোর তুমি আঁকতে পারো এক খরগোশ
যাকে পোষ মানানো যায় না
যাকে ধরবে কিন্তু সে তো নিজের ডিম্বাশয়ের দিকেই দৌড়
যাকে খরগোশ হিসেবে আঁকাটা হয় তো বোকামি
ভুলে যেও না সেই একগুঁয়ে জেদী মেয়েটির কথা
সে ছিল শান্ত ছেলেটির ধারাপাত
প্রতিটি ঢেউ ধবধবে বালুর ওপর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার পর
সেখানে ছড়িয়ে পড়তো সৌরবীজবাহিত ক্ষুদ্রাকৃতি শত শত লাল কাঁকড়া
আমাদের চারপাশের অন্ধকার কুটিরশিল্প কেন আমরা পোড়াবো
কেন আমরা পালাবো
অন্ধকারের ভিতর রয়েছে সেই পুরনো ডাকটিকিটক্রেতা উদ্ভিদ
হাজারবার সে মরেছে সে পুনর্জীবন পেয়েছে
আমাদের মনুমেন্টবিহীন ওপেন এয়ারে এভাবেই এঁকে ফেলছি
ধুলোর দেশ
বাতাসের দেশ
নক্ষত্রপুঞ্জের দেশ
যা কিছু নেই তার দেশ
খড়
ধান পেকে গেলে ধান কেটে ফেলা হয় আর কেটে ফেলার পর
ধান মাড়াই করা হয়
আর আপনারা জানেন মাড়াই করার পর যা পড়ে ধাকে
তা খড়
গ্রামবাংলায় এই খড় হলো গরুর প্রধান খাদ্য
এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন
খড় আর কী কাজে লাগে
লাগে তো
খড় দিয়ে পাখি নিজেদের বাসা বোনে
আর আমরা পারি আগুন ধরাতে
আগুন
একটু সাহস করুন
ধরিয়ে দিন আগুন
খড়ে
দেখুন সেই আগুন কত সহজে জোতদারের বাড়ি অব্দি পৌঁছে গেছে
এ্যালার্ম
বেরুবার সময়
আর ফেরার সময়
আমরা চুমু খাইতেছি পরস্পর
রেগুলারলি এমনটা হইতেছে
অবসরে আমজাদ আলি খাঁ
আর লা লিগা
আর ইউক্রেন
আর কানের জাঁকালো রেড কার্পেট
এইগুলা কি প্রাকটিস হয়া উঠতেছে আমাদের লাইফে
প্রাকটিস
রক্ত আর দুর্গন্ধরে আমলে না নিয়া
আমি বুঝতেছি না
নিমগ্ন
১)
তোমার স্তন
আগের চেয়ে এখন খানিকটা ভারী
আর ঘন
তবে আমাকে তা বহন করতে হয় না
স্তনে মুখ রেখে
কেবল কথা বলে চলি
আমার আত্মার সঙ্গে
২)
ভোরে শুয়ে আছে শিশু।
তোমার স্তনের বৃত্ত
আশ্রয় দিয়েছে দুজনকে।
রক্ত কোথায় যায়
সবাই জানে সূর্য এসে তাজা তাজা রক্ত শুষে নিয়ে যায়
শিশুর রক্ত
একুশের রক্ত
গোলাপের রক্ত
নির্মলেন্দু গুণের কবিতার রক্ত
শাহবাগের রক্ত
বেশ্যার রজঃরক্ত
হ্যাঁ, মানতে হবে কোন রক্তই এখন আর আমাদের
চোখে পড়ছে না
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি
সূর্যের নিজের শরীরেও তো রক্ত বয়ে চলেছে
আর সেই রক্ত যায় কোথায়
কে শুষে নেয়
ভিক্ষুক মেয়েটি
ভিক্ষুক মেয়েটি আমাকে দেখে না,
আমি জানালায় বসে থাকি, বাতাবির শুভ্র অর্ধসত্যে আন্দোলিত।
অমলিন মুখচ্ছবি আর সাবলীল দেহভঙ্গিমা,
পা চালিয়ে ও বড় রাস্তায় ওঠে।
বড় রাস্তা তখন জলে টইটুম্বুর, সাদা সরপুঁটিদের ঘ্রাণ।
ও জিরোয় না।
ও কি কোনদিন জিরোবে না?
ভিক্ষুক মেয়েটি কাকে ভিক্ষা দিতে যায়?
কার কাছে ভিক্ষা
ও
নিতে যায়?
নরক
বিশাল ওয়াজ মাহফিল। অশ্রু আর পুণ্য আহরণ। তুমি অনুভব করো
জঠরবেদনা। রাতে লম্বালম্বি তক্তায় ঘুমোও, ঘুমোও বললে ভুল হয় –
খোঁড়া চাঁদ, তার এক ঠ্যাং ধরে তুমি ঝুলে পড় শূন্যে, যেখানে রহস্যপ্রতিনিধি
অশোকের কাল হতে শুধু বাঁধ ছিদ্র করে। অঝোর ওয়াজ মাহফিল। হযরত
পীর ছাহেবের চোখে খেলা করে অগ্নির গোলক, হাতে ধুতুরার পাতা।
তোমার বৃষল চোখ, ঠনঠনে ধানি মাঠে নখের আঘাত : বধিরতা পেয়ে গেলে,
গলিত শৈবালে জমে গেছে অখন্ড বাথান, শুভ্র রেশমের আবির্ভাব। এই শব,
আবৃত উৎসব এখনও জৈব-কণিকায়; ধ্রুবলোকে তুমি বেমানান। বাজের জারণে
প্রার্থনা, আহ্লাদ- আর নীল হাঁসগুলি নেমে গেল খাঁড়িতে, শামুকে জগৎপ্রণালী…
রূপপুর
দয়া করে বলবেন রূপপুর কোন দিকে
হ্যাঁ
আমরা রূপপুর যাবো
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
সে এক এলাহী কান্ডকারখানা
মানে টিভিতে এমনটাই দেখেছি
নতুন শহর
বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী
কুলিং টাওয়ার
হাজার হাজার রুশিতে ভরা
আচ্ছা হঠাৎ আমাদের বিদ্যুৎ আর বোমা
দুটোই
কেন দরকার হয়ে পড়লো
না কি আমাদের কী দরকার
সেটা
আমাদের চেয়ে
অন্য কেউ বেশি জানে
খুকি
ছেলেটার ছেলেমানুষিই এই হ-য-ব-র-ল’র জন্য দায়ী :
চালের বাতায় মুরগীটা কক্ কক্ করে ডাকছে
পেট ফেটে ডিম না বেরোনো অব্দি তার স্বস্তি নেই
ও-বাড়ির নতুন বউ কলপাড়ে বালতিটা ফেলে দিলে
ঝনঝন ঝনঝন শব্দে তার প্রতিবাদ হলো
আর তখনই হাবা কোথাকার, বুদ্ধু
আমাকে জঙ্গল ভেবে
বউপাখি, মৃগনাভি, লতায় লটকে থাকা নরম জোনাকপোকা
খুঁজতে লাগলো
পেয়েও অনবরত খুঁজতে লাগলো
খুঁজতে লাগ…
দমকা বায়ুর সাথে মা’র চোখ স্থির
বাড়ি কিছুদিন গুম; কাপ, প্লেট, বাজারের থলে
নিজের নিজের মতো স্থান বদলায়
হঠাৎ সানাই এলো দুর্গত বাড়িতে
আত্মীয়স্বজন পাড়াপড়শির জন্য মর্তে ইন্দ্রসভা
টুকটুকে পুতুলের মতো আমাকে সাজিয়ে
তুলে দেওয়া হলো
নতুন টাকার মতো
আনকোরা মচমচে এক ছেলের হাতে
রাতে তার মুখ ভাল করে দেখার আগেই
আমাকে সে শুইয়ে দিল বিছানায়
তারপর ছেলেমানুষের মতো কী কী খুঁজলো
তা দেখতে এলো না কেউ
কেউ দেখতে এলো না
ভদকা
যে-টেবিলে ভদকা থাকে না
সে-টেবিল কোন টেবিলই না
ঠিক এই কথাটাই আমি বলেছিলাম নাজিম হিকমতকে
মস্কোয়
আর উনি আমাকে ভদকা খাইয়েছিলেন
টেবিল ছাড়াই
হ্যা যার ভদকা থাকে
তার টেবিল দরকার হয় না
একজন তুর্কী হিসেবে নাজিম তুর্কী তো জানতেনই
রুশও জানতেন
আর জানতেন যে-টেবিলে ভদকা গড়িয়ে পড়ে
সে-টেবিলের পাগলামি একটু বেশি
ভদকা আর শ্রমিকের রক্তে
পার্থক্য করতে ভুলে যায় সে
সে
ভালোবেসে ফেলে পুরো দুনিয়াটাকেই
আমার কবিতা আছে
কোন কুমারী মেয়েকে আমি আর ভালবাসতে পারবো না
এমন কি বিবাহিত কোন মেয়েকেও
যে
বিকেলের আকাশে ঘুড়ি ওড়ায়
ঘুড়ি ওড়ায় আর ইচ্ছে করে ঘুড়ি হারায়
আর একা হয়ে গেলে খানিকটা কেঁদে নেয়
অথবা এমুহূর্তে যে মেয়ের কোন বয়ফ্রেন্ড নেই
তাকেও
কেন না আমার সঙ্গে তো কবিতা আছে
ওকে
ঐ কবিতাকে
আমি কোথায় রাখবো
ও কার কাছে গিয়ে থাকবে
কন্যার অসম্পূর্ণ শিক্ষা
লিখুন আমার কন্যার বয়স
৫
৬
৭
৮
৯
১০
১১
১২
১৩
১৪
অথবা ১৫
অথবা
২৫
অথবা
৩৫
আমি ওকে বড় করেছি
সুখে
স্বপ্নে
ভালোবাসায়
বাড়িতে ও কতো কিছুই না করে
আঁকে
বাবাকে বকে
স্কুলে ও শিখেছে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান
হায় আমরা তো ওকে শেখাইনি
ধর্ষণ কী
ক্রিকেট
স্কোরটা যত বড় মনে হচ্ছে
তত না।
ক্লাসিক ইনিংস?
সে ওদের জন্য।
কিন্তু জয়
শেষ অব্দি আমাদের।
আমাদের উদ্ভিদসমাজ আমাদের লাল সূর্য
আমাদেরই মতো,
কথা বলতে পারে না
আমাদের ঘুমোতে দেয় না।
স্কোরটা যত বড় মনে হচ্ছে
তত না।
কেন না প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে
আমরা পাশ বদলাতে দ্বিধা করবো না।
দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত
যতবার পারি বলকে পাঠাবো
ঘাসের গালিচা চিরে মাঠের বাইরে।
কেন না
অন্তত দু-পাঁচ বার
বলকে
হাওয়ায় ভাসিয়ে গ্যালারিতে ফেলতে
আমরা সমর্থ হবো।
প্রয়োজনে
উইকেট কামড়িয়ে পড়ে থাকবো।
আমি কীরকম লোক
আমার একটা বাড়ি দরকার
কিন্তু
বাড়ি কিনবার মতো
টাকা
বাড়ি বানাবার মতো
সময়
বাড়ি ভাড়া করবার মতো
রুচি
আমার নেই
কালিনিনগ্রাদ
শেষমেশ এমন একটা মেয়েকে আমি ভালবাসতে গেলাম যে থাকে কালিনিনগ্রাদ। কালিনিনগ্রাদ কোথায় জানো তো? পোল্যান্ড আর লিথুয়ানিয়ার উত্তর-দক্ষিণ কোণটায়, বাল্টিক সাগরের কূল ঘেঁষে। অর্থাৎ মূল রুশ ভূখন্ড থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব। আর জার্মানদের অপরিমেয় লোভলালসা আর ইতিহাসের অস্বস্তিকর গণগণে করিডোর ওটা। ‘কিন্তু আমি খাঁটি রুশি’, বললো নাতাশা। নাতাশা, আমার প্রেমিকা, যে এখন থাকে কালিনিনগ্রাদ। হ্যাঁ, কালিনিনগ্রাদেই ওর জন্ম, অর্থাৎ কালিনিনগ্রাদের ভূমিকন্যা। অবশ্য নিজেকে ও কখনও কখনও সাইবেরিয়ান নুথাচ হিসেবে দাবী করে। কেন না নু্থাচ পাখির কাছে এই দূরত্ব কিছুই না। কালিনিনগ্রাদ, প্রথম দেখাতেই কেউ প্রেমে পড়ে যাবে এরকম কোন জায়গা নিশ্চয় না। কিন্তু এর উষ্ণ জলের বন্দর, মনোরম আর মনকাড়া সব প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে – তদুপরি এর গাছপালা আর বসতবাড়ি আর ধুলোবালিতে কত যে কাহিনী উড়ে বেড়ায়! সবাই দেখতে পায় না হয় তো। যা হোক আমি চাই কালিনিনগ্রাদ গিয়ে থাকতে। আর এটা আমাদের দু’জনের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ, এমন আশঙ্কা নাতাশার। কিন্তু আমি ন্যাটোপ্রধানের কাছ থেকে তো সুপারিশপত্র নিতে যাচ্ছি না।
প্রতি শব্দ পাঠে শিং রক্ত নদী দুর্বিনীত
সম্পূর্ণ গ্রন্থের অধ্যয়নে আমার অযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। ইমেজ অধ্যুষিত দুটি লাইনের ফাঁকে খাইবার গিরিপথ, যেন রক্তলোচন কর্মকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুলিশের জামার সাথে সেঁটে যেতে পারে। ইস্টিশান যদি পৌষের দেখাদেখি ধানকাটা মাঠে নেমে আসে অস্থি ও প্রতিজ্ঞা দেখাবে মন্তাজ।
কোন কোন শব্দ দুপুরে একাকী শালিকের চেয়ে হিংসুক আর ধারালো। এর ফলে শিকড় থেকে কাÐে জল পৌঁছানোর ফাঁকে তর্ক, তর্কে এক পক্ষ হেলে পড়া, তা নদীতেই হোক বা পড়ে থাকা তাজা হাঁসের পালকে। আর ঐ প্লাস্টারখসা বাড়ি, ইটে ও শ্যাওলা-চেতনায় অতীতে কে কত দেখেছে মৃত্যুর মুগ্ধতা?
শব্দের পর শব্দ ধরে চলতে চলতে ধাক্কা : ভাই-বোন শাখাপ্রশাখাসহ দুদিকে চিৎপটাং। ভাই’র পক্ষে উলং গ্রাম, বোনের পক্ষে ঝুলং গ্রাম। সমান শক্তি। কিন্তু মধ্যনিশিতে ছোট ছোট সূর্যের বেষ্টনীতে স্বেচ্ছামৃত্যু হলো যাতে লোকপাত্রে বর্ণহীন না হয় অনন্ত শিখর।
অপরিবর্তনীয় উঠোনবাড়িতে মেঘের ত্রিপল, সামাজিক বৈষম্য দেখিয়ে বুকসমান শস্যের নদীতে স্থির হওয়া যাবে?
অবস্থা বেগতিক দেখি যখন একটিমাত্র শব্দে চে গুয়েভারা বাঁচতে পারেন না। গুয়াতেমালা থেকে খাগড়াছড়ি : সুবিস্তৃত কাঁটাবন, অজস্র পা, গুচ্ছগুচ্ছ মুন্ডুজবায় অতল শিশির। শিশুর চোখে চোখ রেখে দেখা যায় স্বপ্ন অন্যরকম দিন।
কাকে ডেকে নেবো, অপরাধ না নক্ষত্রনীরাবতা? গরু ভাসছে, কাঠের গুড়ি ভাসছে, ছোট ছোট আমলকি গাছ, পাশেই উপুড় আমলকি মা। গোত্রবিধান ও দায়দায়িত্ব ভুলে পাশ ফিরল– যদি একটু ডাঙা দিই!
এভাবে কবিতাপাঠ জীবনযাপনের জন্য দিনদিন দুঃসহ…
মুক্ত মানুষের কেচ্ছা
বসে থাকা ছাড়া কোন কাজ নেই দেখছি গনগনে দুধের ওপর
মাথার ভেতর ঘুঘুপাখি
ঝাঁঝা ঝিঁঝি টেলিগ্রাম কার্কিকের জলপুকুরে
বিকেলের ছায়া দেয়ালটাকে মেঝেয় নামিয়ে নিয়েছে জাস্ট পাগলামি
সচেতন বাবা জানারাটা বন্ধ করে দিলেন টবে জল না দিয়ে
বড় এক বোঝা ঘাড় থেকে নেমে গেল কাজল ভাবলো
কিন্তু মাথা তো মাথাই
ডিমের নীল আলোয় ওটা মস্ত এক বিষাক্ত কাঁঠাল
কোন ভাবনা নেই কেমন দাঁড়াবে আগামী কালকের ল্যান্ডস্কেপ
তেলাপোকা নাশক পাউডার হাতে রাখা দরকার
মরা বাড়ির রাস্তায় এখন ভয়
উঠোনে ভাসছে পুড়ে যাওয়া মেঘেদের নৌকো
আর টলটলে দুধের ঐ বিনম্র গাছগুলো সত্যি অসুস্থ
ওরা কাঁতরাচ্ছে সারারাত ঘুমোবে না
বাড়ি
আমার বাড়ি আছে
আমি ভিখিরি নই
তোমাদের কি ধরে ধরে দেখাতে হবে
কোথায় আমার বাড়ি
কোন রঙের
কোন রক্তের
অতো দায় আমার নেই
খুব সহজ একটা জার্নি আছে আমার
সেটা
দেখাবার মতো নয় তেমন
বলে বোঝাবার মতোও নয়
তবে জেনে রাখা ভাল
রক্তে ক্লেশে ভালবাসায় যে বাড়ি তৈরি
সে বাড়ি সহজে ভাঙে না
যুদ্ধ
জগাখেচুড়ি দিনটাকে মুঠোয় পুরে রাতের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়ি ভুস করে, আর বালিশ ছাড়াই ঘুম। ঘুম মানেই সাধ মিটিয়ে রাজবাড়ির দেয়ালে সটান পেশাব ছরছর, তদুপরি ভিখিরীর কাছ থেকে বিড়ি ধার নিয়ে হাওয়ায় ফুঁ ধোঁয়া। ক্রমশ ধুলোয় একাত্ম হয় স্যান্ডেলের গ’লে পড়া চর্বি। আর খাড়া সেতুর ওপর কাকের মাংস — নৃতত্ত্ব শিখে নেয়া যায়।
এরই নাম চান খাঁর পুল। মিনিট-সেকেন্ডের হিসেবে রাজ্যপাট বেদখল, এবং সন্দেহ নেই, প্রবল সামাজিক। ইংরিজি-বাংলা জটপাকানো বর্ণমালা বাদুড়ের ডানার সাথে কি একাত্মতা!
ট্রাফিক আইল্যান্ডে পুলিশের বাঁশি, এই বেশ, অতো পোড়া চামড়াওঠা দাগে চোখ লাগানো কেন? না চাইলেও রাতে বন্ধ মুঠো খুলে যাবে। তখন সমস্ত গুহা শকুনের ডানায় আবৃত। সে-কারণে ইঁদুরের সাথেও সম্পর্কের বোধ বেশ উজ্জ্বল, বিশেষত মেচি ইঁদুলের অদ্ভুতুড়ে ভাষাজ্ঞান….
অন্যদিকে রাবারগাছ, যার ঘাড় বেয়ে ডিমোক্রেসি না কি যেন গড়িয়ে নামছে। কিন্তু রাতের গ্যাসীয় গুহা ভেদ করে অকস্মাৎ এক ধাতব শিক দ্যাখা গেল, যার একমাত্র কাজ জৈবদেহের যে কোন অমনঙ্ক স্থানে খুচ্ করে ফুটে যাওয়া। এতে হয় কি, দু-একফোঁটা রক্ত বেরোয়, সেই রক্তের আভা এখানে সেখানে ছড়িয়েও পড়ে। মা কুন্তী তার সামান্য আঁচল কোথায় লুকোবে?
আর, বিশ্বাস করবে না, এই ঘূর্ণিপথে একজন রামকিংকর বেশ আত্মমগ্ন। মনে হতে পারে সীমান্তবিভেদ আত্মীকরণ করা জ্ঞানী পাহাড়। শিশুরা আর নাবালক শেয়ালেরা যেন শিখে নেয় আত্মায় গভীর মন্ত্রের রাঙা তরমুজ। শ্রম-আলপনা, তার কূল ঘেঁষে অনার্য সৌন্দর্য যা কালনিষ্ঠ।
ফলে শুরু হয় মাটির তোলপাড়। মাটির নীচে গলাছেড়া ডাক, শেয়ালের কুকুরের বোন হারানো বাবলা কাঁটার। তাদের কারো না কারো গর্ভ থেকে আমি আছড়ে পড়েছি…
শিশির আজম | Shishir Azam
Rabindranath Tagore’s love for art and literature
Porokia Prem Ekaal Sekaal | পরকীয়া প্রেম (একাল সেকাল) | 2023
Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022
Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্শা ও তাৎপর্য | 2023
Shabdodweep Web Magazine | Bangla Kobita Shayari Pattern | Shishir Azam
Bengali literature, known for its vibrant poetic tradition, has always been a source of inspiration for readers and writers alike. Among the various forms of Bengali poetry, the Bangla Kobita Shayari Pattern stands out for its rhythmic flow, emotional depth, and cultural significance. Whether you’re a long-time fan of Bengali Poetry or just beginning to explore this rich literary world, understanding the Bangla Kobita Shayari Pattern is essential for anyone passionate about Bengali literature.
At Shabdodweep Web Magazine, we celebrate the power of Bangla Kobita with contributions from talented poets like Shishir Azam. His evocative verses and mastery of the Bangla Kobita Shayari Pattern have earned him a place among the prominent voices in contemporary Bengali poetry. This article will take you through the nuances of the Bangla Kobita Shayari Pattern, its importance in Bengali literature, and how it continues to captivate poetry lovers around the world.
What is the Bangla Kobita Shayari Pattern?
The Bangla Kobita Shayari Pattern refers to the distinct style and structure used in Bengali poetry, often marked by the use of rhyme, meter, and rhythm to create a lyrical flow. The term Shayari itself is derived from the Persian word for poetry, and in Bengali, it encompasses a variety of forms that express deep emotions and thoughts.
In poetry world, Shayari is a way of weaving together words in a rhythmic pattern that not only pleases the ear but also conveys profound emotions. The Bangla Kobita Shayari Pattern is an essential component of Bengali poetry, often used to evoke feelings of love, sorrow, hope, and longing. It creates an engaging experience for readers, with each line flowing seamlessly into the next, creating a sense of continuity and connection.
This pattern is often used by poets to enhance the emotional depth of their poetry, making it resonate with readers. At Shabdodweep Web Magazine, we feature a wide range of Bengali Poems, Rhymes, and Bengali Literature that showcase this captivating style.
The Importance of Rhymes in the Bangla Kobita Shayari Pattern
One of the most prominent features of the Bangla Kobita Shayari Pattern is the use of rhymes. Rhymes play a crucial role in Bengali poetry, providing structure and rhythm to the verses. In traditional Bengali Poetry, rhyme schemes often follow a set pattern, enhancing the overall musicality of the poem. The repetitive sounds in rhymes create a flow that makes the poetry more memorable and impactful.
The use of Rhymes in the Bangla Kobita Shayari Pattern also allows poets to emphasize certain words or emotions, making them stand out more. For instance, in a love poem, a rhyme may be used to emphasize the depth of affection or longing, drawing the reader’s attention to the central theme of the work. This rhythmic structure is an integral part of Bengali Poetry, allowing the poet to convey their message in a more resonant way.
Through the poetry of Shishir Azam, he explores universal themes such as love, nature, and human emotions, using the Bangla Kobita Shayari Pattern to weave intricate verses that resonate with readers. His ability to blend traditional forms with contemporary expressions has made his works a beloved part of Bengali Poetry. If you’re looking to explore the Bangla Kobita Shayari Pattern in greater depth, Shishir Azam’s poetry is an excellent starting point.
The Role of Bengali Literature in Shaping the Bangla Kobita Shayari Pattern
Bengali Literature has a long and rich history, with its roots tracing back to ancient texts and scriptures. Over time, this literary tradition evolved to include various forms of Bengali Poetry, with the Bangla Kobita Shayari Pattern being one of the most celebrated styles. The influence of classical poets like Rabindranath Tagore and Kazi Nazrul Islam cannot be overstated, as their works laid the foundation for modern Bengali poetry.
In contemporary times, the Bangla Kobita Shayari Pattern has been reinterpreted by poets like Shishir Azam, who incorporate modern themes while respecting the traditional structure. This evolution has helped keep Bengali Poetry vibrant and relevant in today’s literary world. By exploring these poems, readers can gain insight into both the timeless beauty and the ongoing transformation of Bengali Literature.
Why Should Poetry Lovers Explore the Bangla Kobita Shayari Pattern?
For poetry lovers, exploring the Bangla Kobita Shayari Pattern offers a rich and rewarding experience. The combination of rhyme, meter, and emotional depth makes Bengali poetry an engaging and reflective experience. Whether you are a novice reader or a seasoned poetry enthusiast, delving into this pattern will enhance your appreciation for the craft and provide new insights into the world of Bengali Literature.
At Shabdodweep Web Magazine, we provide a platform for readers to discover and explore the Bangla Kobita Shayari Pattern through the works of talented poets like Shishir Azam. Our magazine features a diverse collection of Bengali Poems, Rhymes, and insightful articles on Bengali Poetry that will appeal to poetry lovers of all backgrounds.
FAQs about Bangla Kobita Shayari Pattern
- What is the Bangla Kobita Shayari Pattern?
The Bangla Kobita Shayari Pattern is a poetic structure in Bengali poetry characterized by the use of rhymes, meter, and rhythm to create a lyrical flow. It is used to evoke emotions and express complex ideas. - Why is the Bangla Kobita Shayari Pattern important in Bengali Poetry?
The Bangla Kobita Shayari Pattern is important because it provides a rhythm and structure that enhances the emotional depth of a poem. It helps make the poetry more memorable and impactful for readers. - Who is Shishir Azam?
Shishir Azam is a contemporary poet featured in Shabdodweep Web Magazine. His works often showcase the Bangla Kobita Shayari Pattern, blending traditional forms with modern themes to create emotionally resonant poetry. - Where can I read more Bangla Kobita Shayari Pattern poems?
You can explore a variety of Bangla Kobita Shayari Pattern poems at Shabdodweep Web Magazine, where we publish works from many poets and other contributors who bring fresh perspectives to Bengali poetry. - How does the Bangla Kobita Shayari Pattern differ from other poetic forms?
The Bangla Kobita Shayari Pattern stands out due to its unique rhythm, rhyme schemes, and emotional resonance. Unlike other forms, it focuses heavily on musicality and emotional impact, making it a beloved style in Bengali Poetry.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio