Bangla Kobita Full Time – Rana Zaman
আমার বাগান
আমার বাগানে ফুলের আকালে
মাকাল ফুলের কদরে ডুগডুগি বাজে
বীজতলা কর্ষণে ঘামে হাবুডুবু হয়ে
জল ঢেলে চলে একান্ত মননে
পেখমের রেণু পালের তরঙ্গে
চড়ে মাইক্রোস্কোপে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার
নিড়ানির বিষে আগাছার মৃত্যু
সারের আধিক্য সম্ভবের কুয়া
পড়ে থাকি দিনে বাগানের অন্ত্রে
রাতে থাকি জেগে ডিমের অঙ্কুরে
গর্ভপাতে মা কী যন্ত্রণায় জ্বলে
কষ্টের রুদ্রাক্ষ জড়ায় গলায়
মৃত্তিকা বন্ধ্যায় দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে
হ্রাস করে যায় আলোর দ্রাঘিমা।
দাবা খেলা
নাতিদীর্ঘ স্পর্শ অধরের অতিদীর্ঘ
আমেজের কুয়ো জন্মায় ভোমর
স্বপ্নের সোপান সীমাহীন হয়ে
মেঘের ভেলায় চড়ে ছায়াপথে
নবান্নের ঘ্রাণ অঘ্রাণের দিশা
ধরিয়ে চাষীর জোস্না জ্যোৎস্না-স্নাত সুখ
ইউনিকর্নের শিঙে স্বর্গের আবেশ
ঘাসের শিশিরে চমকে বৃহস্পতি
হরিণী চোখের বাঁকা দৃষ্টি বাঁয়ে
রেখে কচ্ছপের দৃঢ়তায় জল
সেঁচে বুনে যাই আগামীর ধান
প্যাঁদানির চোটে আগাছার বারো
বাজিয়ে নিশান পুতে বিজয়ের
দাবা খেলা স্থির করে বুদ্ধিমত্তা।
যে জানে সাঁতার
যে জানে সাঁতার বিন্দাস তার
কী সমস্যা অথৈ জলে
অথৈ জল মাথার উপর দিয়ে
গড়াক অথবা আরো বেশি
কোজাগর চাঁদে অন্ধকার ভাগে
পুচ্ছে অগ্নি লাগা বানর
জুলাই বিপ্লবে আবু সাঈদের
বুকের কাঠিন্যে জানে স্বৈরাচার
ফিঙ্গের দৃঢ়তা বাজ প্যাঁদানিতে
তুড়ি মারা কিংবা আরো তুচ্ছ
পিঁপড়ে সামনে যেতে অদম্যের
কচ্ছপ সুযোগেই লম্বা করে গলা
নামতা মাঝপথে না থেমে সীমানায়
পৌঁছে ছাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
কেউ বুঝে না আমাকে
আমি মাঝে মাঝে হয়ে যাই একা
মরুভূমির ক্যাকটাস প্রচণ্ড উত্তাপে
ভালো লাগে একক সংখ্যা হয়ে থাকতে
মাছির গুঞ্জন বিরক্ত ধরায় ভীষণ
বন্ধুদের হাসি সীসা ঢালে কানে
ওদের ফোনকল না ধরে ফেলে রাখি
মা-বাবার ডাকে থাকি নিঃস্পৃহ
কমোডে বসে নখ খুটে কাটে সময়
আমাকে বুঝে না কেউ, একদম না
কিশোর বয়স কি দায়ী এর জন্য?
একটু অবহেলা সহ্য হতে চায় না
ভাংচুর করতে ইচ্ছে করে সবকিছু
ঘড়ির কাঁটায় ঝুলে থাকে ভাবনাগুলো
আমি কি বুঝাতে অক্ষম আমার ভাবনা?
কেন কেউ আমাকে বুঝে না? কেন?
এই দুর্বিষহ দেয়াল কিভাবে ভাঙবে?
ইচ্ছেজন্ম
জল ভেঙে গ্যাস উপকারী বেশ
পাতা পঁচে সার ক্ষেতখামারে
ভাত মজে মদ মন্দের অশেষ
মাটি পঁচে না কখনো!
চাঁদ ছ্যাঁচোর তো অবিনাশী তাই
তারা মরে যেতে যেতে উল্কা
নীড় নড়েচড়ে শেষে আবর্জনা
বুদ্ধিভ্রষ্টে ঠাঁই পাগলাগারদে
তিল তাল হলে অঘটন বেশ
লাজ হটে গেলে বেলেল্লাপনা
অগ্নি তাপ দেয়, বিধ্বংসীও
মরে গেলে দেহ পঁচে কটু গন্ধ
গাছ কাজে লাগে জীবিত বা মৃত
ইচ্ছেজন্ম হলে কী হতে চাইতাম?
ভাগ্য চড়ে আছে চক্রে
ভাগ্য ট্রেনে চড়ে না কখনো
বার্থের টিকিট কেটেছি কত যে!
নিজ হাতে গড়তে চেয়েছি সর্বদা
বালির প্রতিমা তৈরি হচ্ছে প্রতিবার
পরিকল্পনার ভিত্তি অলঙ্ঘ্য পাথর
তৃপ্তির ঢেকুর তুলি প্রতি ক্ষেত্রে
শক্ত হাতে হাল ধরে ছাড়ি নৌকা
হঠাৎ তুফানে লণ্ডভণ্ড সব
ভাগ্য গড়ে না তো নিখুঁত পরিকল্পনায়
ভাগ্য চলে থাকে চাকায় সোয়ার হয়ে
কারো ক্ষেত্রে চন্দ্রে অবতরণ শেষে
কেহ ছিটকে পড়ে ধুঁকতে থাকে পথে
প্রকৃতি ভাগ্যকে চড়িয়ে দিয়েছে চক্রে
কোনো প্রচেষ্টাই বসাতে পারে না ট্রেনে
এক চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে হয়তো আরেকটা সফল
সফল ব্যর্থতা মিলেই পূর্ণতা জীবনের।
সরল অঙ্কের গড়ল চরিত্র
উপরে তাকাই রাক্ষসের জিভ মাপতে
মাপি উদরের গভীরতা
অবয়বে দৃষ্টি দেই না ঘেন্নায়
কাছে যাই নাক চেপে
শূয়র দুর্গন্ধ বুঝে নাকো নিজ শরীরের
নিচে আছি দেহ মৃত্তিকার
যদিও বঞ্চনা দেয় ধূলিকণা নিত্য
মৃত্তিকায় এতো ফসলের জন্ম
মাটির শরীরে জন্মে ক্ষুধা বেশুমার
জেদ মেটানোর অক্ষমতাও
শাসনের ছুরি বাড়ায় বৈষম্য
শূয়রের মেদ বেড়ে হাড্ডিসার বক
মৃত্তিকার সার শুষে নেয় ইউক্যালিপ্টাস
বাবুই’র মড়কে বাড়ে চিলের উল্লাস
সরল অঙ্কের সমাধান কোন্ সূত্রে?
লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কোন্ গর্তে?
নির্লিপ্ত রেফারি আসবে কবে মাঠে?
বৈষম্য ধ্বসাবে হনুমান কোন্?
বঞ্চনার দেহ হতে পারে হনুমান?
সূর্যমামা জাগার আগে জাগি
সূর্যমামা জাগার আগে নিদ্রা থেকে উঠে,
বাড়ির সামনের ফুল বাগানে যাবো আমি ছুটে।
পাশের বাড়ির পিসি বলবে, ‘কেন উঠো ভোরে?’
বলবো আমি, ‘তখন বাগে প্রজাপতি ওড়ে।’
ফুলের শরীর স্পর্শ করে সুবাস নেবো শুঁকে,
বাসায় থাকা ছানা একটা তুলে নেবো বুকে।
মা-পাখিটা বকা দিলে, ‘করছোটা কী খোকা?’
বলবো আমি,’ কষ্ট দেবো, নই তো তেমন বোকা।’
সূর্যমামা উঠে বলবে, ‘খোকাবাবু কেমন আছো?
ফুলের কাছে, পাখির কাছে কী কী তুমি যাচো?’
বলবো আমি মুচকি হেসে, ‘ফুলের মতো হচ্ছি,
ভাষা শিখতে পাখির সাথে অনেক কথা কচ্ছি।’
মুক্ত বাতাস সেবন করে যাবো ঘরের মাঝে,
খতম করতে লেগে যাবো দ্রুত নিজের কাজে।
মাতা জেগে বলবে তখন, ‘মেজেছো কী দন্ত?’
বলবো আমি বুক ফুলিয়ে, ‘করেছি সব অন্ত।’
আরো বলবো মাকে ধরে, ‘আমি ভোরের পাখি,
তাইতো দেখো ভোরের আগে খুলি আমার আঁখি।
আমি জাগলে ঝর্ণা জাগে, জাগে আরো সাগর,
আমার ছোঁয়ায় পাখির বাচ্চা হতে থাকে ডাগর।’
ক্ষুধা নিয়ে দেখায় পুতুল নাচ
পুতুল নাচের গল্প-কিসসা সবাই জানি আমরা,
যে জন নাচায় অভাবে তার থাকে না গা’র চামড়া।
মেলা থেকে মেলায় ঘুরে কুশীলবের হস্ত,
পর্দার আড়াল নিয়ে দেখায় পুতুলের নাচ মস্ত।
কাপড় দিয়ে বানায় পুতুল সুন্দর থাকে গড়ন,
নারীর দেহে কাপড় পরায় দেখতে সোনার বরন।
বুড়ো থাকে যুবক থাকে আরো থাকে শিশু,
কতক পুতুল দেখতে যেন প্রাচীন কালের যিশু।
নাচের মতো চলতে ফিরতে আলাপ করে ওরা,
ভাবটা দেখায় ওদের কাছে আছে গল্পের ঘড়া।
মাঝে মধ্যে ঝগড়া বাঁধায় ঘটায় তুমুল কাণ্ড,
কুশীলবের ঝোলায় আছে হাজার গল্পের ভাণ্ড।
পুতুলের নাচ আনন্দ দেয় দর্শক থাকে খুশি,
পেছনের জন খাচ্ছেটা কী মুঠোভাত বা ভুষি।
একটি বেলা খাবার জুটে উপোস আরেক বেলা,
পেটের ক্ষুধা নিয়ে দেখায় পুতুল নাচের খেলা।
মনে গেঁথে থাকা স্মৃতি অক্ষয়
বই-এর ভাঁজে রাখা গোলাপের পাপড়ি
মশার ডানায় রূপান্তর দেখে
রাক্ষসের থাবা বিস্তারের শঙ্কা দেয় না ঘুমাতে
বসন্ত গুটি বা জল ভোগাতে ওস্তাদ
দোনে ফুটো থাকলে জল অপচয় না হলেও
বহু গর্ভপাত ঘটিয়ে সময়
নাগরদোলায় চড়ে অলসের ঘুমে ঘাঁটি গাড়ে
ঘড়ি না থাকলে কি থাকতো না দুশ্চিন্তা?
চশমা ঝাপসা হলে দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা
রমণীর গোঁফ দেখতে পারঙ্গম কতটুকু
তা দ্রাবিড় যুবক হাতে গর্ত খুঁড়ে বুঝিয়ে দেয়
কায়িক শ্রমের দাম যন্ত্রের নিকটে তুচ্ছ
দাবার চালের বুদ্ধি জাদুকরী হয়ে গেলে
শৃগালের ব্রেনে রান্না হতে থাকে বুদ্ধি হ্রাসের
অনেক রকম নুন ছাড়া সালুনের ভাণ্ড
শকুনি মামার বধ যতো ততো স্বস্তি বৃক্ষরাজ্যে
নদীর প্রবাহে স্বার্থের জাঙ্গাল চৌর্যকাজে
মুন্সিয়ানা বেশ ধাঁধিয়ে নজর ভিন্ন দিকে নিয়ে
বারোটা বাজায় পরিবেশে সুক্ষ্ণ চালে
মনে গেঁথে থাকা স্মৃতি আমরণ অক্ষয়।
বাংলা মিশে আছে গায়ে
কথা বলি, মাকে ডাকি, পদ্য লিখি বেশ
টিয়াকে শেখাই বোল, কুকুর তাড়াই
চৈত্রের প্রখর রোদে ছায়ায় হারাই
দীঘির শীতল জলে সিক্ত করি কেশ।
ভরা জলে মাছ ধরি, পাশে ডুবে মেষ
রাখালের গান শোনে বিস্ময়ে দাঁড়াই
জ্যোৎস্না রাতে গীত শোনে ধানের মাড়াই
‘হাই হাট!’ চাষী বলে চষে নিজ দেশ।
কাজে কর্মে বলে যাই বাংলা মা’র বোল
অনেক স্বাদের জানি গোয়ালার ঘোল।
বাংলা মিশে আছে গায়ে, ভাবি না তো ভিন্ন
এতো যে বাংলায় বলি, তবুও অতুষ্টি
অহোরাত্র করে যাচ্ছি বিজাতীয় ছিন্ন
প্রতি পদে বুঝি নিত্য, বাংলা দিচ্ছে পুষ্টি।
গুজবে গজব নামে
গুজবে গজব নামে জানে সর্বজনে
বহু কাণ্ড ঘটে থাকে মায় মারামারি
জানোয়ার কিছু ঘরে ঢুকে ভাঙে হাঁড়ি
ঝোপ থেকে ক্রমান্বয়ে অগ্নি লাগে বনে।
গুজব ছড়ায় যারা গলফ খেলে লনে
চ্যালা-চামুণ্ডা সকল খেতে থাকে তাড়ি
ঘোলা জলে মাছ ধরে গড়ে নিচ্ছে বাড়ি
লাভের বাণিজ্য করে যাছে প্রতিক্ষণে।
এরা সমাজের ক্ষত শেয়ালের হাড়
নিজ বা দলের স্বার্থে গুজব রটায়
প্রতিপক্ষে যত ক্ষতি তত লাভ ব্যাংকে
নির্বিবাদে বেয়ে যায় বিধ্বংসের দাঁড়
প্রয়োজনে যেথা সেথা দাঙ্গাও ঘটায়
এদের হয় না কিছু উল্টো বাড়ে র্যাঙ্কে।
আমি বাঁচি তোমার প্রেমে
চাঁদ দূরে তারা দূরে তুমি আছো কাছে
তুমি একটু দূরে গেলে মনে ইঁদুর ছুটে
মাছি গুলো হাতি হয়ে ভীষণ মজা লুটে
বেড়াল ছানা ভীত হয়ে উঠে পড়ে গাছে।
তুমি জানো আমার নিঃশ্বাস থাকে তোমার পাছে
স্বস্তি পেয়ে দোলনায় চড়ে আপন নখও খুঁটে
কাল-অকালে অধর জুড়ে খানিক চুম্বন জুটে
মাংস ছেড়ে তিনটি বেলা মজে থাকি মাছে।
ভুল বুঝো না প্রিয়া আমার আমি তোমার পাগল
চেয়ে দেখো আমার বিশ্বে খোলা সকল আগল।
আমি বাঁচি তোমার প্রেমে আদি থেকে অন্ত
এই কথাটা বলতে পারি মাইক নিয়ে হাতে
জীবন ব্যাপে না পেলে তো হয়ে যাবো সন্ত
বাবার বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসো আমার সাথে।
লঙ্কা দেবো বেটে
লোভের বাণিজ্যে স্বার্থ চার চক্ষে আন্ধা
কামাই করার নেশা রাখে করে বুঁদ
আসল তেমন রেখে কোটি গুণে সুদ
সম্পর্কের মাঝে খোঁজে বাণিজ্যের ধান্ধা।
সিন্ডিকেট গড়ে নিতে দিয়ে থাকে কান্দা
আমজনতার পকেট কাটে হয়ে উদ
নিজেদের পাতে কোর্মা ভোক্তাদের খুদ
ক্ষমতা মুঠোর রাখতে দেয় মোটা চান্দা।
ব্যাংকের দেদার টাকা মেরে যাচ্ছে হেসে
বেগম পাড়ায় বাড়ি দেশ ভালোবেসে।
প্রতিদিন মূল্য বাড়ে ভোক্তা কিনে অল্প
বাড়ে না কাহারো আয় খিদা থাকে পেটে
ইচ্ছে করে না শুনিতে লোভীদের গল্প
সময়ে ওদের চোখে লঙ্কা দেবো বেটে!
প্রকল্পের জ্যাঠা খননে ঠকায়
নদীর কল্লোল রুদ্র রূপ নিয়ে ছুটে
উজানে কুমির হয়ে শেয়ালের খোঁজে
কখনো চেঙ্গিস নখ ব্যর্থতায় খুঁটে
ইলিশ ডাঙার কষ্ট হাড়ে হাড়ে বোঝে।
পলল ভাগাতে নদী প্রাণান্ত চেষ্টায়
শাবল বাগিয়ে দৌড়ে গুঁড়িয়ে কিনার
থানার দারোগা দোষ চাপায় কেষ্টায়
প্যাঁচার উল্লাসে ভাঙে ধর্মের মিনার।
তবুও অনেক নদী হচ্ছে বুড়িগঙ্গা
দেশের কানুন বাঁধা লোভীদের জিভে
টক-শো কেবল আড্ডা লেগে থাকা মঙ্গা
বেরোয় বানানো শব্দ সংবাদের নিবে।
প্রকৃতি বিরূপ আজ নদীরা কঁকায়
প্রকল্পের জ্যাঠা নিত্য খননে ঠকায়।
হৃদয়ের খোলা সব প্রান্ত
যেদিন তোমায় দেখি ফুলের বাগানে
কবিতা সৃজন শুরু সুবেহ সাদিকে
বিহঙ্গ করে না লীলা না পদ্যে না গানে
বুঝি না কোথায় চলে ডানে না বাঁদিকে
বনের গভীরে চাঁদে তোমার চেহারা
চাঁদের অধিক শানে ভাবায় ভীষণ
পাল্কি কাঁধে প্রেমেপূর্ণ একাই বেহারা
ভুলি না কখনো আমি আমার মিশন।
তোমার অন্তরে ঠাঁই পেতে সব শ্রম
উদয়াস্ত করে যাই দেহে ও কলমে
বুঝি না কাটে না কেন আলেয়ার ভ্রম
আমি আছি দিবানিশি সকল মলমে
তোমার আমাকে নিয়ে সব চিন্তা ভ্রান্ত
ছেনে দেখো হৃদয়ের খোলা সব প্রান্ত।
ফাগুন এসেছে দ্বারে
ফাগুন এসেছে দ্বারে গাছে গাছে ফুল
কোকিল ডাকিছে সুরে বিমোহিত মন
মনের ভেতরে ছবি দেখি সব ক্ষণ
দিলাম গাঁদার মালা সজ্জা করো চুল
অর্কিড দিলাম হাতে হোক কানে দুল
ফুলের সখ্যতা পেতে মন জুড়ে বন
তোমার নিমিত্তে সদা মেতে থাকি রণ
সকল ভাঙ্গনে থাকা গড়ে যাচ্ছি কূল
তোমার হাসির দেখা মিলছে না আমার
সরোষে তাকাও নিত্য পুষ্প পায়ে পিষে
হরেক সাম্পানে উঠো মেলে রেখে বাহু
শুদ্ধ ঘ্রাণ পুষ্পে ভরা আমার খামার
বুঝি না তোমার মন ভরা কেন বিষে
তোমার চৌদিক ঘেরা যত সব রাহু।
পুষ্প বনে তুমি চাঁদ
ফুলের সুঘ্রাণে ডুবে থাক মনোত্তম
কবিতায় প্রেমালাপ উথাল-পাতাল
চাষে থাক অনিবার ফাগুন চাতাল
বলো না কখনো তুমি ভুলে ধনোত্তম
লীলায়িত বায়ুস্তর ছন্দের পালকে
কুসিকাঁটা রেণু ভাঙে যাদবের অঙ্কে
বাসরের জ্যোৎস্না-স্নান নির্ভর চালকে
ভ্রান্তির মোড়কে লেপ্টে ডুবো না হে পঙ্কে
লোনাজলে ক্রোমোজম শূন্যতায় রক্ত
বিলোল ফাগুনে নামে বিনাশ উসর
সর্বকালে চন্দ্রালোক সৃজনে দোসর
বৃন্দাবন অভিজ্ঞানে পুষ্প স্রোতে ভক্ত
পুষ্প বনে তুমি চাঁদ কাছে কিংবা দূরে
ফাগুনে কবিতা গাক কোকিলের সুরে।
মকরক্রান্তির স্পর্শে
সাময়িক বিরতি হলেও কখনো থামে না
ট্রেনের নিঃশ্বাস; আর্যকালে পাথরে পাথরে
ঠোকাঠুকি হলেও ছিল না বারুদের
গন্ধ ত্রিসীমানায়; খতি নিয়ে রক্তগঙ্গা
বইতো না; ভাবতো না মাটি নিয়ে
আজকাল ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে
গাধা যেতে চায় স্বর্গে; জিরাফের গলা
ঢুকে পড়ে গোপন গুদামে প্রতি মুহূর্তে; দাঁড়কাক
দাড় টানে রক্তাভ কর্নিয়া নিয়ে; ছোবলে কবুতরের
বুক নীল; ট্রেন ছুটে চলেছে মহাকালের দিকে
মকরক্রান্তির স্পর্শে কুকড়াবে ড্রাকুলা।
গ্ল্যাডিয়েটর
পদচিহ্ন পেছনে ফেলে
এগোতে হয়, নিক্তির কাঁটা
সকল সময় স্বাভাবিক তথ্য
দেয় না; ইথারে ভাসমান হাজারো
বিষাক্ত ভাইরাস দুই একটা
কামড় দিতেই পারে; আখের ডগাকে
সব সময় কুকুনে আবদ্ধ করে
রাখা যায় না; গ্ল্যাডিয়েটর এতে
না দমে এরিনাতেই যুদ্ধরত; ঘামের
বিনিময়ে পাওয়া চড়ুই পাখি
ফুলায় পাঁজর; অতিক্রান্ত
পথটুকু কুসুমান্তির্ণ; হ্যাকার আইকন
দেখে কি-বোর্ড দেয় ছেড়ে।
পুরোনো ডায়রি
মাঝে মাঝে পুরাতন ডায়রির
পাতা উল্টালে দু’ একটা তারা
দেখা যায়; এন্টিকের ব্যবচ্ছেদে
মগজের কোষে খানিক পুষ্টি জমে; সঞ্চয়
তৈল মাখানো বাঁশের শাখামৃগকে হতোদ্যম
হতে দেয় না; এবং এলোপ্যাথি
ও হোমোপ্যাথির ভিন্নতা শেখায়; তখন
পথ চলাটা অনেক সহায়ক
হয়ে যায়; অগুনতি হ্যাকারের ভিড়ে
কাশবন প্রোগ্রাম আগলে
রাখা মুস্কিল; পুরোনো ডায়রি
বর্ণ বানাতে সাহায্য করে বেশ।
ফুল ফুটেছে কোকিল খুশি
ফুল ফুটেছে খুশি কোকিল
গাইছে কুহু গান
শীতের দাপট কমতে থাকায়
রক্ষা পাচ্ছে জান
মৃদু-মন্দ বইছে বাতাস
ভাসছে ফুলের ঘ্রাণ
চলতে ফিরতে মিষ্টি গন্ধে
ভরে উঠে প্রাণ
দূর আকাশে মেঘের ভেলা
বৃষ্টি ঝরে এই
মাঠ প্রান্তের বুড়ো ধানের
খুশির সীমা নেই
বসন্তকাল এসে গেছে
গাছে গাছে ফুল
ছোট খুকি দুটো ছিঁড়ে
গড়লো কানের দুল।
ফুলে ফুলে ভ্রমর উড়ে
ফাল্গুন মাসে গাছের শাখায়
ফুটে নানান ফুল
ফুলে ফুলে ভ্রমর উড়ে
ফুটায় প্রেমের হুল
ফুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে
ভ্রমর মধু খায়
ফুলেরা এই কাজের মাঝে
প্রজনন সুখ পায়
ফুলের মাঝে জাদু আছে
ছড়ায় মোহন ঘ্রাণ
ফুলের গায়ে নাক ঠেকিয়ে
মোহিত করি প্রাণ।
ফুলের বাহার ফাল্গুন মাসে
ফুলের বাহার মনের আহার
ফাল্গুন মাসে পাই
ফুলের ঘ্রাণে মনে আনে
ফুলের বনে যাই
ফুলের সাথে বন্ধু পাতি
ফুলে চুমু খাই
ফুলের বনে ঘুরাঘুরি
ফুলেতে হারাই
ফুলের মধু আকণ্ঠ পান
বারে বারে চাই
ফুলের ভাবনায় ঘুমাই জাগি
অন্য ভাবনা নাই।
শীতের শেষে ফাগুন এলো
শীতের শেষে ফাগুন বুঝি
এলো ঘরের দ্বারে
ফুল ফুটেছে গাছে গাছে
তাজা সুবাস ছাড়ে
ফুলে ফুলে ভোমর উড়ে
কোকিল ডাকে গাছে
ছোট খুকি বাগান জুড়ে
হাত দুলিয়ে নাচে
ধীরে ধীরে বাতাস বহে
মেঘও চলে ধীরে
যেতে যেতে শীতের মাসি
তাকায় পেছন ফিরে।
এসো ফাগুন সবার দ্বারে
এসো এসো ফাগুন তুমি
এসো সবার দ্বারে
হরেক রকম ফুলের সাথে
খুকির বয়স বাড়ে
ফুলের বনে খুকি হাটে
কথা ফুলের সাথে
কোকিল ডাকে পাশের বনে
ভ্রমর খুকির আঁতে
উদাস খুকি আপন ভুলে
কাব্য করে মনে
ফাগুন এলে পূর্ণ নারী
ভ্রমর খুঁজে বনে।
জীবনের নৌকা
জীবনের নৌকা থেমে যাচ্ছে বালুচরে
অকালের চৈত্র মাসে মাটি ফাটা রোদ
পণ্য মূল্য বৃদ্ধি কেড়ে নিচ্ছে সব বোধ
টান পড়ে যাচ্ছে ভল্টে রাখা ক্ষুদ্র খড়ে
রাত্রি দিনে টেনে যাই নৌকা গুণ ধরে
পানি নেই দূরে কাছে দেখি শুধু লোদ
পারি না দমিয়ে রাখতে মনে থাকা ক্রোধ
জলের শিকারে গেলে জল যায় সরে
কোথায় ঊষর ভূমি এতো পানি টানে
পর্দার ওপারে কেহ বাঁকা দৃষ্টি হানে
কোথাও অনেকে গুম থেকে কাটে ঘাস
দারিদ্র্যের নাড়ি কেটে খেয়ে নিচ্ছে সর
বনের শিথানে বসে কেটে খাচ্ছে হাঁস
হা-ভাতের ধ্বসে যাচ্ছে ভিটে মাটি ঘর।
শরতের বৃষ্টিভেজা কাশফুল হতোদ্যম
শরতের বৃষ্টিভেজা কাশের ফুলের
চুপসে থাকা হতোদ্যম। নদীতীরে এসে
খুশি ম্রিয়মাণ বেশ। ভাঙনের রেশে
উত্তাল তখনো নদী। কাহারো চুলের
ফিতা বাসুকির ছন্দে গাছের মূলের
সাথে লেগে বেশ নাচে। কাহারো মা কেশে
কান্না লুকোয় আঁচলে। ভবিষ্যৎ ভেসে
যায় জলে। নদীতীরে আবাস ভুলের।
শিউলি ফুলের বৃক্ষটা পড়ে গেলো জলে
দু’টো ফুল তুলে খুকি কাঁদে পলে পলে।
ওদিকে কৃষক ব্যস্ত, পাটের আঁশের
মাঝে নিদ্রায় সুখের শ্বাস। পচে গেলে
ওদের খোরাক হবে না বারো মাসের।
খালেবিলে মাছ ধরে কেহ জাল ঠেলে।
তবু শিক্ষক থাকেন ছাত্রে
মা-বাবার পরে স্থান শিক্ষাগুরু পান,
সন্তান গড়েন তিনি শুরু থেকে শেষ,
সারাদিন শ্রেণীকক্ষে অগোছালো কেশ,
প্রশ্নের উত্তরে পাঠ নিয়মিত দান।
ভাবেন বাড়াতে পাঠ প্রদানের মান,
চলেন ফিরেন গায়ে সাধারণ বেশ,
কঠিন বিষয়ে নোট করে দেন পেশ,
সারাজীবন ছাত্রের ভালো চেয়ে যান।
পরিবারের রাখেন খোঁজ খুব কম,
টানাটানি কী রকম বোঝে শুধু বধূ,
ক্ষোভে দুঃখে ছেলেমেয়ে ম্রিয়মাণ সদা,
তিনবেলা আহারে কুঁকড়ে থাকে দম,
খিচুড়ি কখনো ভর্তা সাথে চিংড়ি কদু,
তবু শিক্ষক থাকেন ছাত্রে হয়ে গদা।
শ্রাবণে মেঘের লীলা ম্যালা
শ্রাবণ আকাশে মেঘ সাদা কালো বেশ,
অল্প জল গর্ভে নিয়ে চলে হেলেদুলে,
হঠাৎ ঝুমুর বৃষ্টি পড়ে কাশ ফুলে,
কিশোরী কতক ভিজে নিয়ে এলোকেশ।
কাশের বাগানে ঢুকে খুশি অনিমেষ,
সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে নৌকা ভিড়ে কূলে,
রাখালেরা গরু ছেড়ে আসে বৃক্ষ মূলে,
বৃষ্টি থেমে গেলে পরে থেকে যায় রেশ।
কৃষক বিলের জলে খুশি ধরে মাছ,
অনেক ডাঁটের যার থাকে তাল গাছ।
তালের রসের পিঠা মজা খুব উম!
কত গল্প বুকে নিয়ে ভেসে চলে মেঘ,
হাঁসেরা সাঁতার কাটে পানাফুলে চুম,
শ্রাবণে চাষির কাজে থাকে অল্প বেগ।
কাশের ফুলের ঘ্রাণ
কাশের ফুলের ঘ্রাণে খুকু আসে ছুটে
নদীর কিনারে এসে লম্বা শ্বাস ছাড়ে
সখীদের সাথে লয়ে উল্টোদিকে বাড়ে
কাশের ফুলের স্পর্শ নিয়ে মজা লুটে
কাশের ফুলের দুল দুটো কানে উঠে
ভাদ্রের মেঘের পাল দ্রুত দৃষ্টি কাড়ে
পিছু নিয়ে ছুটে আসে গোমতীর পাড়ে
কিছু ফুল তুলে নেয় ওরা পত্রপুটে
হঠাৎ ঝুমুর বৃষ্টি ভালো লাগে বেশ
শরীর ভিজায় ওরা খুলে দিয়ে কেশ
ভুলে যায় বাড়িঘর ভুলে থাকে সব
উলম্ব লাফায় ওরা কাদা জল মেখে
খুশিতে বেহুশ হয়ে করে যায় রব
দূরের নৌকার মাঝি হালে বসে দেখে।
শীতকালে
ঘাসের শিশিরে
শীতের সকাল
সূর্যের কিরণে
মনটা মাতাল
চাদর মুড়িয়ে
আগুনের তাপ
মুঠোটা গরম
ভাপা দেয় ভাপ
শীতের কামড়ে
কুঁকড়ে সবাই
কাজেতে যাবার
ব্যস্ততাও নাই
শীতকাল এলে
সবাই অলস
অসুখের ভয়ে
সকলেই বশ।
চেনা মুখ কখনো অচেনা
চেনা চেনা মুখ কখনো অচেনা হয়ে যায় হয়
স্বার্থ আত্মকেন্দ্রে ঘনীভূত হলে অংকে ভজঘট
চোখের চামড়ায় ঘুণ ধরে কাটে সম্পর্ক কুটুস
দিলের স্পন্দন কেটে তুলে নেয় মণি হয়তোবা
ছেলে কেটে ফেলে বাবার বিশ্বাস-
যেমন কেটেছে শাহজাহানে আওরঙ্গজেব
বন্ধু হরহামেশা কাটে নাতা সম্পর্কের
স্ত্রী কাটে স্বামীর, ভাই, প্রতিবেশী কাটে অহরহ
চেনার অচেনা ব্যবহার থমকে দেয় বিশ্বাস
থেমে থাকে নাকো চেনার পরিধি বৃদ্ধির কর্ষণ
কন্টক বিছানো পথে জীবনের গাড়ি চলে অবিরাম
চেনা অচেনা হলেও অচেনাকে চেনার প্রচেষ্টা থাকে অব্যাহত।
আগামী বছর দুর্যোগ ঘাসের
সাজানো থালার খাদ্যে অবিরাম ভূতের আছর
পোকা বাছতে বাছতে বেলা অবেলায়
ক্ষুধা বেড়ে আজ আলসারের দোসর
চোখেরা তারায় নিভু নিভু ছাই
মাছের কাঁটায় বাসা ক্ষয়রোগে
বাইন মাছের লেজ পারাপার
বাজের সাধ্যে কী বয়ে নিয়ে যায় অজগরের গা
লাফাতে লাফাতে মরে ব্যাঙ শুধু
ছুটকি পরিষ্কার করে দেখি ব্যাক্টেরিয়া
ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণে শেষ তিন শ’ পঁয়ষট্টি দিন
অভুক্ত থালায় খাবারের চেয়ে ভূতের জিহ্বা
নিয়মের তোড়ে অভুক্ত থালার গমন ডাস্টবিনে
আর্তের ভোঁদড় কাদামাখা থেকে পরের পৃষ্ঠায়
আগামী বছরে কী থাকবে থালায়?
ভূতের আছর?
ঘাস কতদিন সয়ে নেবে পেট?
যৈবতী কন্যার মন
যৈবতী কন্যার মনে বেহুলার বাসর ঘরের
ফুটো চোখে না পড়ায় ডানা ঝরে পায়রার
মেঘের মিনারে উঠার সিঁড়িটা
বরফের তৈরি হওয়ায় দ্বিবিধ বিপদের গর্ত
ছোটো থেকে হতে থাকে বড়
গাড়ির চাকায় লোহার টায়ার লাগানোর ভাবনা
চাঁদে জমি কেনা কিংবা কম!
যৌবনের লাট্টু বিপরীত লিঙ্গে কুস্তি খেলতে চেয়ে
বিপত্তির বারো বেজে বারমুডা অঞ্চল
সঙ্গমের সুখ কিংবা বেসুমার টাকা?
কোন্ পাগলের কোন্ মাদকের নেশা
মুর্গীর বিষ্ঠায় খেজুরের গুড় দেখার অভ্যাস
পটল তোলে না উপড়ে ফেললে মূল
কবিতায় মজে গেলে জ্যোৎস্না ফুলকুমারি!
ভুল নামতায় স্যারের পিটুনি মনে থাকলে
নির্ভুল বুননে মসলিন শাড়িটা খেলে হাতে।
সূয়াচান পক্ষী
নিজের ফাঁদেই আটকে আছে
সূয়াচান পক্ষী
সারাদিন ঘুরেফিরে ফিরে আসে
শৃঙ্খলের ঘেরে
রঙিলা আভাসে রাস্তাহারা হয়ে গেলে
তড়পায় কৈমাছ তপ্ত কড়াই-এ
পাখি উড়তে থাকে দানার তালাশে
স্থল থেকে জলে
পেট পুড়ে খেয়ে ফিরে আসে নীড়ে
সঞ্চয় করে না কিছু
রাগের বিরাগে কিংবা অনুরাগে
পুষে না হিংসার লেশমাত্র
অদৃশ্য ফাঁদের চক্রে ঘুরেফিরে পাখি
ছেড়ে দেয় প্রাণ কোনো ক্ষণে।
যে জানে সাঁতার
যে জানে সাঁতার বিন্দাস তার
কী সমস্যা অথৈ জলে
অথৈ জল মাথার উপর দিয়ে
গড়াক অথবা আরো বেশি
কোজাগর চাঁদে অন্ধকার ভাগে
পুচ্ছে অগ্নি লাগা বানর
জুলাই বিপ্লবে আবু সাঈদের
বুকের কাঠিন্যে জানে স্বৈরাচার
ফিঙ্গের দৃঢ়তা বাজ প্যাদানিতে
তুড়ি মারা কিংবা আরো তুচ্ছ
পিঁপড়ে সামনে যেতে অদম্যের
কচ্ছপ সুযোগেই লম্বা করে গলা
নামতা মাঝপথে না থেমে সীমানায়
পৌঁছে ছাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
জ্যামিতির ধাঁধাঁ
আয়তক্ষেত্রের দাড়িগোঁফ ছেঁটে
বর্গক্ষেত্রে ঢুকে সন্তুষ্টির বারো!
মোষ আকৃতির দেহ কি বল্লরী?
কুচকে যেতে পারে ভ্রু যুগল
ত্রিভূজ হাতছানি হাজার দিলেও
ক্ষয়ের কিনারে ভিড়াবো না নাও!
রম্বাসের উরু-তে স্বপ্নভঙ্গ ঘটে
যদিও মেয়র পোষে গুণ্ডাপাণ্ডা বেশ
পঞ্চভূজে ঘটে গাঁজাখোরের আড্ডা যে
ষড়ভূজ ভিড়মি খেয়ে হাসপাতালে!
বহুভূজের গেঞ্জাম সাম্পান ডুবিয়ে
উত্তরপুরুষে ঢোকায় ভাইরাস এন্তার
ক্রাশ প্রোগ্রামের জেরে লম্ব হয়ে
মেদহীনের লাভ কমে গেছে খর্চা
চাপের সুবিধা যেকোনো আকার নিয়ে
হতে পারে বৃত্তের যেকোনো অংশ।
চিন্তার সুতো থাক নাটাই-এ আবদ্ধ
চিন্তা খরস্রোতা নদী কিংবা আরো বেশি
দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে অনায়াসে
গড়ে ভালো কিংবা মন্দ
কখনো বিধ্বংসী কখনো সুরম্য
ইচ্ছের প্রকাশ ঘটাতে নিউরন ভূমি
ইটের ভাটার মতো পুড়ে ইচ্ছে
বহু ইচ্ছে পৌঁছে না গন্তব্যে
কতক তো পুড়ে নিষ্কাম ঝামা
হাঁ-বাচক চিন্তা বানায় ভবন
ইচ্ছে পূর্ণ রূপ পায় চিন্তার প্রকাশে
চিন্তা না-বাচক হলে পিশাচের জন্ম
চিন্তা বিস্ময়কর সংযোগ জীবের
চিন্তায় যে অগ্রগামী সে থাকে সামনে
নিয়ন্ত্রণহীন চিন্তা ক্ষতিকর বেশ
চিন্তার সুতো থাক নাটাই-এ আবদ্ধ
তাতেই মঙ্গল নিপুণ তাঁতির।
কবি তখনই থাকে মৃতবৎ
চেতনা সতেজে বীজ থেকে চারা
বাঁশ থেকে বাঁশি কিংবা কোনো মই
লেবু নিংড়ে রস যে কোন অংকের
অথবা জাইগোট থেকে নব্য শিশু
কখনো বিরাণ ভূমিতে ক্যাকটাস
ঝিনুকের শূন্য পেটে মূল্যবান মতি
নৌকা বেয়ে নদী থেকে পয়োধিতে
ইচ্ছে ঘুড়ি মর্ত থেকে ছায়াপথে
কবি ভেসে থাকে ডানা ছাড়া শূন্যে
শব্দ দিয়ে গড়ে বিশ্ব অনুপম
উপমা বিস্তর উৎপ্রেক্ষা অঢেল
পথ চলা নিত্য হাজার মিটার
কবি তখনই থাকে মৃতবৎ
ভাবের সাগরে এলে চৈত্র মাস
শব্দের পশ্চাতে উপমা না এলে
আদতে কবির আসে মৃত্যুকাল।
রানা জামান | Rana Zaman
Is it possible to remove tattoo | ট্যাটু রিমুভ কি সম্ভব? | 2023
Fathers Day History | পিতৃ দিবসের ইতিহাস ও বাঙালি আবেগ | 2023
Nagarjuna besha or Parashurama besha | নাগার্জুন বেশ | অভিজিৎ পাল
Gaja-Uddharana besha | গজ-উদ্ধারণ বেশ | অভিজিৎ পাল
Shabdodweep Web Magazine | Bangla Kobita Full Time | Rana Zaman
Bengali literature has a long and rich tradition, known for its profound poetry, emotive storytelling, and vivid expressions of human experiences. One of the most celebrated aspects of Bengali literature is its vast array of Bangla Kobita (Bengali poetry), which showcases a variety of styles, themes, and emotions. Whether you are a passionate reader or a newcomer to the world of Bengali Poems, diving into the world of Bangla Kobita Full Time will surely leave you inspired.
At Shabdodweep Web Magazine, we are committed to publishing and celebrating the best in Bengali Poetry, Rhymes, and Bengali Literature. Our content includes a wide range of works, from traditional to contemporary poets, ensuring that every poetry enthusiast finds something that resonates with them. Among the notable voices featured on our platform is Rana Zaman, whose poetry continues to captivate and inspire readers.
Here, we will explore the beauty of Bangla Kobita Full Time, its cultural significance, and its role in Bengali literature. Additionally, we’ll introduce the works of Rana Zaman and provide an overview of the rich and diverse world of Bengali poetry.
What is Bangla Kobita Full Time?
Bangla Kobita Full Time refers to the immersive experience of engaging with Bengali poetry in its entirety—appreciating every aspect of the verse, rhythm, and meaning. This term highlights the ongoing dedication to reading and interpreting Bengali poetry, whether it’s from classical or modern poets. Bengali Poems are often layered with intricate meanings, rich emotions, and historical context, making them perfect for a deep dive into the essence of Bengali culture.
At Shabdodweep Web Magazine, we strive to bring Bangla Kobita Full Time to a global audience by featuring a mix of established poets and rising voices in Bengali literature. With every poem, we aim to provide readers with a comprehensive understanding of the Bengali Poetry tradition, which has shaped the literary landscape of Bengal and beyond.
The Rich Tradition of Bengali Literature
Bengali literature dates back centuries, with Bengali Poems at its heart. The poets of Bengal have used their work to explore themes like love, loss, nature, social justice, and spirituality. Throughout the years, Bengal has produced some of the most renowned poets in history, including Rabindranath Tagore, Kazi Nazrul Islam, and Jibanananda Das.
The importance of Bengali Literature extends beyond its artistic value; it also plays a crucial role in reflecting the societal changes and struggles of the time. The language of Bengali, with its beauty and versatility, allows poets to express the most complex emotions in ways that are both simple and profound.
In modern times, contemporary poets like Rana Zaman continue to build upon this rich tradition, infusing their poetry with fresh perspectives while respecting the timelessness of Bengali culture. Their works bring Bangla Kobita Full Time into the present day, ensuring that the power of Bengali poetry remains as relevant as ever.
Why Read Bengali Poetry?
Reading Bangla Kobita Full Time offers much more than an appreciation of beautiful language. It opens the door to understanding the nuances of Bengali culture, traditions, and history. Each poem, whether contemporary or classic, serves as a window into the poet’s soul, offering a unique glimpse into their thoughts, emotions, and worldview.
At Shabdodweep Web Magazine, we provide a diverse range of Bengali Poems and Rhymes that reflect the multifaceted nature of Bengali literature. Some poems are deeply philosophical, while others explore the lighter, more joyful aspects of life. Together, they paint a vivid picture of the human experience, making Bengali Poetry a valuable tool for personal reflection and emotional growth.
The Power of Rhymes in Bengali Poems
Rhymes play an essential role in Bengali Poems by enhancing the rhythm and musicality of the verses. The use of rhyme and meter helps to create an emotional connection with the reader, drawing them into the world of the poem. In traditional Bengali poetry, rhymes were often used to express deep philosophical or spiritual ideas in a manner that was both lyrical and easy to remember.
Modern poets like Rana Zaman continue to use rhymes in innovative ways, balancing tradition with experimentation. These rhyming Bengali Poems can be both moving and thought-provoking, making them a key part of the Bengali literary experience.
Why Choose Shabdodweep Web Magazine for Bangla Kobita Full Time?
At Shabdodweep Web Magazine, we offer a rich collection of Bengali Poetry from both emerging and established poets. Whether you are looking for Rhymes that express deep emotion or poems that delve into cultural themes, we provide content that caters to a diverse range of literary tastes.
With contributions from talented poets like Rana Zaman, our magazine stands out as a leading platform for the celebration of Bengali Literature. Our commitment to quality, authenticity, and cultural relevance ensures that our readers experience the very best of Bangla Kobita Full Time.
FAQs about Bangla Kobita Full Time
- Why should I read Bangla Kobita?
Reading Bangla Kobita helps you connect with the rich cultural heritage of Bengali literature, while also exploring universal themes like love, loss, and identity. - Who is Rana Zaman?
Rana Zaman is a contemporary poet featured in Shabdodweep Web Magazine. His works are known for their emotional depth and their exploration of modern Bengali life and culture. - What makes Shabdodweep Web Magazine special for Bengali Poetry?
Shabdodweep Web Magazine is a trusted platform for reading Bangla Kobita Full Time, offering high-quality poems and literary content. We feature works from both established poets like Rana Zaman and rising voices in Bengali Literature.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio